বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ইসলামভীতি নিয়ে গবেষণা করায় তোপের মুখে মুসলিম শিক্ষাবিদ’

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ২৩:০২

আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত হাফিজ ইউনিভার্সিটি অব স্যালজবার্গে কর্মরত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো হিসেবেও কাজ করছেন। গত সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে গত বছরের ৯ নভেম্বর তার বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অস্ট্রিয়ায় ইসলামবিদ্বেষী ‘হেইট ক্রাইম’ নিয়ে কাজ করায় সরকারের নজরদারিতে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির শিক্ষাবিদ ফরিদ হাফিজ।

তুরস্কভিত্তিক টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন (টিআরটি) বলছে, অস্ট্রিয়ায় সরকারের মুসলিমবিদ্বেষী নীতিমালার বিরোধিতাকারীদের ওপর দমনপীড়ন বাড়ছে। যার অন্যতম ভুক্তভোগী ফরিদ হাফিজ।

আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত হাফিজ ইউনিভার্সিটি অব স্যালজবার্গে কর্মরত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো হিসেবেও কাজ করছেন।

গত সোমবার ফরিদ হাফিজ একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে গত বছরের ৯ নভেম্বর তার বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ঘটনার প্রায় চার মাস হতে চললেও এ ব্যাপারে এবারই প্রথম মুখ খুললেন তিনি।

প্রায় আট মিনিটের ভিডিওতে হাফিজ বলেন, যখন তার বাড়িতে তোলপাড় চালাচ্ছিল পুলিশ সদস্যরা, সে সময় ইনফ্রারেড ডটের একটি বন্দুক তার বুকে তাক করে রাখা ছিল।

জাতিবিদ্বেষ এবং মুসলিমবিরোধী গোঁড়ামি হাফিজের গবেষণার অন্যতম বিষয়। অস্ট্রিয়ার সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি দেশটির সরকার দিন দিন কঠোর হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।

আপার অস্ট্রিয়ার একটি গ্রামে জন্ম নেয়া হাফিজ শৈশবের স্মৃতিচারণ করে জানান, দেশটিতে কট্টর ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে এবং মূলত মুসলিমরাই তাদের ক্ষোভের শিকার।

তিনি বলেন, ‘এ কারণেই ইসলামভীতি নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী হয়েছিলাম আমি। কারণ আমার মনে হচ্ছিল যে এটা এমন এক বিষয়, যা নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না।’

টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, হাফিজের কাজ গুরুত্বের সাথে নিয়ে তাকে চুপ করানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার। তার বাড়িতে পুলিশি অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি তার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে ভিয়েনা। অথচ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি।

টিআরটি ফরিদ হাফিজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রিয়ার মুসলিম সমাজকে ধ্বংস করে দিতে তৎপর দেশটির সরকার। দেশটিতে যে আদতে কেউই নিরাপদ নয়, সে বার্তাই দিচ্ছে সরকারের এসব পদক্ষেপ।’

ফলে হাফিজকে হয়রানি করা ও ভয়ভীতি দেখানোর মাধ্যমে তার গবেষণা আটকে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে সন্দেহ অনেকের। সমর্থকদের অনেকে হাফিজের আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগও নিয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী, কোনো প্রমাণ এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই কোনো বিষয়ে অনুসন্ধান জারি রাখার অধিকার রাখে দেশটির সরকার।

২০১৬ সালে দেশটির তৎকালীন কট্টর ডানপন্থি সরকার ইসলাম বিষয়ক শত বছরের পুরোনো একটি আইন পরিবর্তন করে। আইনে অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ের জন্য বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অনুদান গ্রহণের নিয়ম বহাল রাখা হলেও মসজিদের ক্ষেত্রে নিয়মটি নিষিদ্ধ করা হয়।

সে সময় ব্যাপক সমালোচিত হয় পদক্ষেপটি। তখন থেকেই মুসলিমদের ক্ষোভ এবং তাদের দমনে অস্ট্রিয়া সরকারের নীতিমালা কঠোর হতে শুরু করে।

২০১৭ সালে দেশটিতে মুসলিম নারীদের জন্য নেকাব এবং ২০১৯ সালে স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শিশু ও কিশোরীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও ২০২০ সালে মুসলিমদের অধিকার রক্ষার কথা উল্লেখ করে হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর