সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলছে না ওয়াশিংটন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক ও সৌদি রাজতন্ত্রের কট্টর সমালোচক খাশোগজি।
খাশোগজি একসময় সৌদি রাজপরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল তার হত্যার পেছনে হাত রয়েছে এমবিএসের। ট্রাম্পের শাসনামলে এ হত্যা প্রতিবেদনের ধামাচাপা দিয়ে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে অবস্থান পাল্টায় হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার প্রকাশ করা হয় খাশোগজি হত্যা নিয়ে করা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (ডিএনআই) প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, এ হত্যায় নির্দেশ ছিল এমবিএসের।
বাইডেন প্রশাসন জানায়, এই হত্যার পেছনে জড়িত সৌদি আরবের ৭৬ নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে জড়িত থাকতে পারেন এমন ব্যক্তিদেরও আনা হতে পারে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
সে তালিকায় এমবিএস রয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কিছু জানালেন না যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। বললেন, ‘যে ৭৬ জনকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত বলা বা ভবিষ্যতে এই তালিকায় কাদের যোগ করা হতে পারে, আমরা তা জানানোর অবস্থায় নেই।’
এমবিএসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাইস বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্টভাবে এই তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত বা তালিকা থেকে কাউকে বাদ দিতে পারছি না।
‘নিকট ভবিষ্যতে ক্রাউন প্রিন্সের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত অবগত নই।’
আল জাজিরা অবশ্য সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, খাশোগজি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা এমবিএসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
নেড প্রাইসের উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে ‘যথার্থ সম্পর্ক’ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। দুই দেশের সম্পর্কে ‘ফাটল’ না ধরিয়ে বরং ‘মজবুত’ করার উদ্দেশ্য তাদের।