বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির ভয়েই রাজপরিবার ছেড়েছেন প্রিন্স হ্যারি!

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২১ ২১:১৩

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। এ জন্য অবশ্য রাজসিংহাসনের অধিকার ছাড়তে হয়নি প্রিন্স হ্যারিকে।

মা প্রিন্সেস ডায়ানা আর স্ত্রী মেগান মার্কেলের ভাগ্য বুঝি একই দিকে যাচ্ছে- এমন শঙ্কাতেই সস্ত্রীক রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে থেকে সরে দাঁড়ান প্রিন্স হ্যারি।

আমেরিকান উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র নিজেই। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস নিউজে প্রচারিত একটি টিজার ক্লিপে অন্তত এমনটাই বলতে শোনা গেছে হ্যারিকে।

অপরাহ উইনফ্রের উপস্থাপনায় ‘মেগান অ্যান্ড হ্যারি: আ সিবিএস প্রাইমটাইম স্পেশাল’ অনুষ্ঠানে দেখা যাবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বহুল আলোচিত এই দম্পতিকে। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকরা অনুষ্ঠানটি সিবিএস নিউজে দেখতে পাবেন আগামী ৭ মার্চ।

১৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা আসার পর থেকেই আলোচনায় অনুষ্ঠানটি। সোমবারই বহুল প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠানটির প্রমোশনাল ভিডিও হিসেবে ৩০ সেকেন্ডের দুটি ক্লিপ প্রকাশ করে সিবিএস।

এতে প্রিন্স হ্যারিকে বলতে শোনা যায়, ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’র ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। আর সে কারণেই স্ত্রী মেগানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে স্বেচ্ছায় সাধারণ মানুষের জীবন গ্রহণ করার।

ভিডিও ক্লিপে হ্যারির পাশে বসা মেগানকে অপরাহর প্রশ্ন ছিল, কখনো তাকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়েছিল কি না, কিংবা নীরব থাকতে চাপ দেয়া হয়েছিল কি না, কিংবা সহ্যের সীমা অতিক্রম করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেছিল কি না। প্রশ্নের জবাবে মেগান কী বলেছেন, সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে সেটি দেখানো হয়নি। এ প্রশ্নের উত্তর জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আগ্রহী দর্শকদের।

সিবিএস জানিয়েছে, পুরো অনুষ্ঠানে বিয়ে, মাতৃত্ব, রাজপরিবারের সদস্য থাকার সময়ের জীবনযাপন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক অভিনেত্রী মেগান মার্কেল। জানিয়েছেন, কীভাবে সামলেছেন জনতার কৌতুহল মেটানোর ভয়াবহ চাপ।

রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া কতটা কঠিন ছিল, কী কী চাপের মধ্যে পড়তে হয়েছে সে জন্য, কঠিন সে সময় কীভাবে পার করেছেন- এমন নানা প্রশ্ন আর রাজপরিবারের দায়িত্বভার বহনের সময় ও তারপরের জীবন নিয়ে কথা বলেছেন হ্যারি।

২০১৮ সালে মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন হ্যারি। সাধারণ পরিবারের মেয়ে হলেও প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ের আগে প্রখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন মেগান মার্কেল।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি। এ জন্য অবশ্য রাজসিংহাসনের অধিকার ছাড়তে হয়নি তাকে। দাদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরসূরী হিসেবে বাবা প্রিন্স চার্লস, বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম, উইলিয়ামের তিন সন্তান প্রিন্স জর্জ, প্রিন্সেস শার্লট ও প্রিন্স লুইসের পর সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি। রাজপরিবারের দায়িত্ব ছাড়লেও ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ হিসেবে পদমর্যাদাও ধরে রেখেছেন হ্যারি-মেগান।

এর আগে রাজপরিবার ছাড়ার কারণ হিসেবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কৌতুহলের কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতে এবং ‘বিষাক্ত পরিবেশ’ থেকে নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলেছিলেন হ্যারি।

হ্যারির মা, প্রয়াত প্রিন্সেস অব ওয়েলস ডায়ানাও ১৯৯৬ সালে স্বামী প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লসের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পর রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। ত্যাগ করেন ‘হার রয়্যাল হাইনেস’ পদবিও।

এর পরের বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় পাপারাজ্জিদের মোটরবাইকের ধাওয়া এবং গাড়ির গতি বাড়ানোর এক পর্যায়ে চালকের নিয়ন্ত্রণ হারানোকে। বলা হয়, ডায়ানার গাড়িচালক মদ্যপও ছিলেন সে সময়। ডায়ানার মৃত্যুর কারণ নিয়ে অসংখ্য বিতর্ক ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থাকলেও কোনোটারই স্বপক্ষে প্রমাণ নেই।

অপরাহর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির প্রচারণামূলক ভিডিওতে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, ‘যে ভয়াবহ কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমরা দুজন বের হয়ে এসেছি, ২৪ বছর আগে আমার মা সে পরিস্থিতি কীভাবে সহ্য করেছেন- সেটা আমি কল্পনা করতেও ভয় পাই। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমরা তো তাও একসাথে একে অপরের পাশে থেকে কঠিন সময়টা পার করেছি। আমার মা বছরের পর বছর একাই সব সহ্য করেছেন।’

হ্যারি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। আজ আমি মুক্ত, এখানে কথা বলছি স্ত্রীকে পাশে নিয়ে, এতেই আমি খুশি।’

হ্যারি-মেগানের এ সাক্ষাৎকারের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বাকিংহাম প্যালেস। যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠানটি কবে প্রচার করা হবে, তাও অজানা।

মেগানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হ্যারির সঙ্গে তার বিয়ের রাজকীয় আয়োজনের অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অপরাহ উইনফ্রে।

এ বিভাগের আরো খবর