বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সু চির বিরুদ্ধে আরও দুই অভিযোগ

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২১ ১৬:০২

আইনজীবী মিন মিন সো বলেন, সোমবার ঔপনিবেশিক আমলের দণ্ডবিধির এক ধারায় সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যাতে ভীতি বা শঙ্কা সৃষ্টি অথবা জনগণের শান্তি বিঘ্ন হওয়ার মতো তথ্যের প্রকাশ নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ রয়েছে।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরও দুইটি অভিযোগ এনেছে দেশটির আদালত।

সু চির আইনজীবীর বরাতে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

আইনজীবী মিন মিন সো বলেন, রাজধানী নেপিদোতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে হাজির হন সু চি। এ সময় নিজের আইনি দলকে দেখতে চান তিনি।

১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বেশ কয়েকজন নেতা। ওই দিন এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় বসে দেশটির সেনারা।

আটকের পর সু চিকে প্রকাশ্যে আর দেখা যায়নি।

সু চিকে ‘মা’ সম্বোধন করে মিন মিন সো বলেন, ‘আমি ভিডিওতে মাকে দেখেছি। তাকে সুস্থ দেখাচ্ছিল।’

এর আগে বেআইনিভাবে আমদানি করা ছয়টি ওয়াকিটকি রেডিও রাখার অভিযোগ আনা হয় সু চির বিরুদ্ধে। পরে তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের প্রটোকল ভাঙার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।

মিন মিন সো বলেন, সোমবার ঔপনিবেশিক আমলের দণ্ডবিধির এক ধারায় সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যাতে ভীতি বা শঙ্কা সৃষ্টি অথবা জনগণের শান্তি বিঘ্ন হওয়ার মতো তথ্যের প্রকাশ নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ রয়েছে।

এ ছাড়া সু চির বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ আইনে আরেকটি অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান মিন মিন সো।

সু চির পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৫ মার্চ।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সু চির শুনানির সময় মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ চলছিল। ওই সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে মারে পুলিশ। পুলিশি এ হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সেনাশাসকেরা ক্ষমতায় বসার পর থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সু চির মুক্তির দাবিতে টানা আন্দোলন করছে মিয়ানমারের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আন্দোলন শুরুর পর গতকাল রোববার বিক্ষোভকারীদের ওপর সবচেয়ে বেশি সহিংস হয় দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে নিহত হয় ১৮ জন।

এ বিভাগের আরো খবর