আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইরান।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদেহ জানান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের তিন দেশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বিবৃতির পর ইরান মনে করছে, আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনার সময় এখনও আসেনি।
ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান এই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তেহরানের বক্তব্যকে হতাশাজনক বলছে ওয়াশিংটন। তারা বলছে, জয়েন্ট কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশনের (জেসিপিওএ) আওতায় যখন অবরোধ উঠে যাচ্ছে, ঠিক সে সময়ে বেঁকে বসছে ইরান।
ক্ষমতায় আসার পর ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া চুক্তিতে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এর জন্য শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন, পরমাণু চুক্তি পুরোপুরি মানতে হবে ইরানকে।
সম্প্রতি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ইরান। এই অবস্থা মেনে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও ইউরোপের দেশগুলো।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে জেসিপিওএ স্বাক্ষর করে ইরান। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
তবে ২০১৬ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসে চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেন যুক্তরাষ্ট্রকে। শুধু তাই নয়, নানা নিষেধাজ্ঞা আর অবরোধে বিপর্যস্ত করে তোলেন ইরানের অর্থনীতিকে।