বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌদি বাদশাহকে ফোন বাইডেনের

  •    
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:২২

সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপ হলো। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিবেদনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকেও দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে।

সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে ফোনালাপ হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, জামাল খাশোগজি হত্যার ঘটনায় সৌদি বাদশাহর ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) জড়িত ছিল, তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকতে পারে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি এজেন্টদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি সরকারের নীতির কড়া সমালোচক খাশোগজি। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি নিতে ওই কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তিনি।

বাইডেনের পূর্বসূরি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে সৌদি সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন। বিশেষ করে যুবরাজ এমবিএসের সঙ্গে দহরম-মহরম ছিল তার।

খাশোগজি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে আইনি বাধ্যবাধকতা প্রত্যাখ্যান করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বরং সৌদি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নেই তাদের ঝোঁক ছিল বেশি। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পাল্টে যায় সব।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও সৌদি বাদশাহর মধ্যে আলাপ শেষে বিবৃতি দেয় হোয়াইট হাউস। এতে অবশ্য খাশোগজির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কারাগার থেকে লুজাইন আল-হাতলুলসহ বেশ কয়েকজন সৌদি-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মীর মুক্তি দেয়াকে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন বাইডেন। সার্বজনীন মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় বলে জোর দিয়ে জানান তিনি।’

প্রায় তিন বছর কারাদণ্ডের পর চলতি মাসে হাতলুলকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সৌদি এই নারী মানবাধিকার কর্মীর ওপর। পাশাপাশি তাকে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি দেয়নি সৌদি সরকার।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা। দেশ দুটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যতটা সম্ভব মজবুত ও স্বচ্ছ রাখার কথা সৌদি বাদশাহকে বলেন বাইডেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানের হুমকি থেকে সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।

এ ছাড়া ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগও ফের শুরু করা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর