ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে নাগরিকদের মাত্র পাঁচ রুপিতে এক বেলা ভাত-ডাল-সবজি ও ডিম খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
পিছিয়ে নেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিও। তারা বিনা পয়সায় মাছ-ভাত দিয়ে শুরু করেছে প্রচার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন মা-কিচেন। কলকাতা শহরে সরকারি এই রান্নাঘর থেকে সস্তায় গরিব মানুষের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসব রান্নাঘরে মিলছে ভাত, ডাল, সবজি ও ডিমের তরকারি। পেট ভরে দুপুরের খাবার খাওয়া যাচ্ছে পাঁচ রুপিতে।
তৃণমূল বলছে, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবারগুলো পরিবেশন করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে এখন ডিমেরই খুচরা মূল্য ৬ রুপি। সেখানে ৫ টাকায় ডিম-ভাত খেতে ভিড় দেখা যাচ্ছে। সে খাবার খেয়ে অনেকেই জয়ধ্বনি করছেন মমতার।
এদিকে মমতার সঙ্গে টেক্কা দিতে বিরোধী শিবির নিয়েছে মাছ-ভাতের কর্মসূচি।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিজেপির স্থানীয় নেতারা শুরু করেছেন ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ কর্মসূচি। তারা বিনা পয়সায় ভাত-ডাল-সবজি-মাছ খাওয়াচ্ছেন মানুষকে। এর মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে ‘ডিম-ভাত’ বনাম ‘মাছ-ভাত’ লড়াই।
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের সাবেক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘দুর্নীতির টাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই ভোটের আগে পাঁচ রুপিতে ডিম-ভাত খাওয়াচ্ছে দিদিমনি (মমতা)।’
শুভেন্দুর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে বিজেপি মাছ-ভাত খাওয়াচ্ছে।
এমন বাস্তবতায় তৃণমূল ও বিজেপিকে কটাক্ষ করছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভোটের মুখে মানুষের কাছে ভালো সাজার জন্য সস্তায় খাবারের বন্দোবস্ত অনৈতিক। এটা একধরনের ঘুষ।’