যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের রূপরেখা প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। জানান, দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে তিব্বত, হংকং, শিনজিয়াং, তাইওয়ানসহ চীনের সংবেদনশীল অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক গলানো বন্ধ করতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ব্রিঙ্গিং চায়না-ইউএস রিলেশন্স ব্যাক টু দ্য রাইট ট্র্যাক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা ফের শুরু করতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া বা দেশটিকে প্রতিস্থাপনের কোনো ইচ্ছা চীনের নেই বলে জানান ওয়াং। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান ও অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ করতে চীন আগ্রহী বলেও জানান তিনি।এ সময় চীনের পণ্যের ওপর ‘অযৌক্তিক শুল্ক’ তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান ওয়াং। এ ছাড়া চীনের সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি শিক্ষাবিষয়ক ও সাংস্কৃতিক দলের ওপর বিধিনিষেধ অপসারণেরও আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা বেশ কয়েকটি সংঘাতপূর্ণ পদক্ষেপ বাতিলের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ দিচ্ছে চীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের কথা জানান।
২০১৭ সালে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বসান ট্রাম্প। এ ছাড়া চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও অ্যাকাডেমিক বিনিময়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন তিনি।
স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কও উন্নত করে ট্রাম্প। তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। এ ছাড়া চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে দেশটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন ট্রাম্প।
২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করেছিলেন বাইডেন। চীনের প্রতি দেশটির নীতিতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন তিনি আনবেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।