বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে অভ্যুত্থান: সেই তরুণীর শেষকৃত্যে মানুষের ঢল

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:১৮

ম্যায়াকে শেষবারের মতো সম্মান জানাতে রোববার রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় তিন আঙুলের স্যালুটের মাধ্যমে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানায় জনগণ। ওই অঞ্চলে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিন আঙুলের স্যালুট দেখানো হয়।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত তরুণীর শেষকৃত্য রোববার রাজধানী নেপিদোয় সম্পন্ন হয়েছে। এতে যোগ দেয় কয়েক হাজার মানুষ।

৯ ফেব্রুয়ারি নেপিদোতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় ১৯ বছরের তরুণী ম্যায়া থুয়ে থুয়ে ক্যান। লাইফ সাপোর্টে ১০ দিন থাকার পর গত শুক্রবার মারা যান সুপার শপের কর্মী ম্যায়া থুয়ে থুয়ে ক্যান।

ম্যায়াকে শেষবারের মতো সম্মান জানাতে রোববার রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার মানুষ। এ সময় প্রতিবাদী চিহ্ন তিন আঙুলের স্যালুটের মাধ্যমে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানায় জনগণ। মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিন আঙুলের স্যালুট দেখানো হয়।

সোনালি ও কালো রঙের মিশ্রণে ম্যায়ার কফিন যখন নেয়া হচ্ছিল তখন রাস্তার দুপাশে ছিল জনতার ভিড়। শবযাত্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল ছিল কফিনের আশপাশে। অনেকের হাতে ছিল ম্যায়ার ছবি।

১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় নির্বাচিত নেতা অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট মিন্ট উইনসহ শীর্ষ রাজনীতিকদের।

সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের দাবি, নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপি করে জিতেছে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি। এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ডেকে ক্ষমতায় বসলেও জান্তা সরকার বলছে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অচিরেই নতুন নির্বাচন দেবে তারা।

তবুও দমানো যাচ্ছে না প্রতিবাদকারীদের। সময়ের সঙ্গে বরং আরও তীব্র হচ্ছে। শনিবার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আরও দুই জন।

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মিয়ারমারের জান্তা সরকারকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সহিংসতায় উসকানি বন্ধে করা নীতিমালা লঙ্ঘন করায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর প্রধানের পেজ বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক।

মিয়ানমারে সেনাশাসন নতুন কোনো ঘটনা নয়। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতার পর প্রায় পাঁচ দশক দেশটি শাসন করেছে জান্তা সরকার। ১৯৬২ সালে বেসামরিক প্রশাসন বাতিল করেন জেনারেল নি উইন। এরপর টানা ২৬ বছর সামরিক সরকার ক্ষমতায় ছিল।

১৯৮৮ সালে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন নি উইন। সবশেষ ২০১১ সালে জান্তা সরকারের নেতা জেনারেল থান সুয়ে পদত্যাগ করেন। দেশের সংবিধান মেনে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়েন তিনি।

কিন্তু এর আগে ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে প্রবল রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর হাতে স্বরাষ্ট্র, সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ দেয়া হয়। পার্লামেন্টে নির্ধারিত আসনের এক-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সেনাবাহিনী।

এ বিভাগের আরো খবর