ইসরায়েলে ফাইজারের টিকা কার্যকর ও নিরাপদ প্রমাণ হওয়ায় করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে দেশটির সরকার। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রোববার থেকে দোকান, পাঠাগার এবং জাদুঘর, ব্যায়ামাগার, শপিং মল খোলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং মাস্ক পরে এসব স্থানে যেতে পারবেন নাগরিকরা।
একে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রথম ধাপ বলছে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে তারা জানায়, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ফাইজারের টিকার দুইটি ডোজ নেয়ার পর করোনা আক্রান্তের হার ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে এসেছে। পর্যবেক্ষণে আরও জানা গেছে, করোনার কারণে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ঠেকাতে ৯৮ শতাংশ কার্যকর ফাইজারের টিকা।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয়েছে ইসরায়েলে। দেশটিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ।
করোনার প্রকোপ বাড়ায় গত ২৭ ডিসেম্বর তৃতীয় ধাপে লকডাউন দেয়া হয় ইসরায়েলে। বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় এখন থেকে শপিং মল, পর্যটন এলাকা এবং চিড়িয়াখানার মতো জনসমাগম স্থানে যেতে পারবে মানুষ। এ ছাড়া ব্যায়ামাগার, হোটেল, উপাসনালয়গুলোও খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বিমানবন্দর খোলা হবে আরও দুই সপ্তাহ পর। কনসার্ট এবং খেলাধুলায় দর্শক উপস্থিতি থাকবে ৭৫ শতাংশ।
এসব স্থানে যেতে প্রত্যেককে ‘গ্রিন পাসপোর্ট’ সঙ্গে নিতে হবে। টিকা নেয়া ব্যক্তিদের ছয় মাস মেয়াদি এই পাসপোর্ট দিচ্ছে সরকার। আর যারা সম্প্রতি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, টিকা নিতে পারছেন না, তাদের দেয়া হচ্ছে একটি সনদ। এই সনদ দেখিয়ে জনসমাগম স্থানে যাওয়া যাবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সামনের দুই সপ্তাহের মধ্যে ৫০ ঊর্ধ্ব ৯৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।
এদিকে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। ইসরায়েল সীমান্ত খুলে দেয়ায় রাশিয়ার উদ্ভাবিত স্পুটনিক-৫ টিকার ২ হাজার ডোজ পৌঁছেছে গাজায়। এই টিকা বিকল কিডনি এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারীদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলে কাজ করা প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ টিকা পাবেন। তবে ৫০ লাখ ফিলিস্তিনির ভাগ্যে কী আছে তা জানা যায়নি।