ভারতে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্মরণ করা হচ্ছে বায়ান্নর ভাষাশহিদদের।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বহু আগে থেকেই একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ত্রিপুরার প্রয়াত কবি ও সাবেক মন্ত্রী অনিল সরকার দিনটিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করেন।
২০১০ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এখন আরও ঘটা করে পালিত হচ্ছে দিনটি। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে কলকাতা, শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি, শিলচর, আগরতলাসহ বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস রোববার সকাল থেকেই ভাষাশহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
কলকাতার পাশাপাশি গুয়াহাটি ও আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনও দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করছে।
এবারই প্রথম দক্ষিণ কলকাতার তারাতলায় আয়োজন করা হয়েছে একুশে বইমেলার। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে একুশের অমর ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এদিন রাজ্য সরকারের তরফে শ্রদ্ধা জানান, সালাম-জব্বারদের।
কলকাতায় ভাষা চেতনা সমিতির তরফে আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। গুয়াহাটিতে ‘ব্যতিক্রমের’ তরফেও পালিত হবে দিনটি। শিলচরে ‘মৌলিক অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠানের।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে রক্তদান কর্মসূচি। ছবি: নিউজবাংলা
আগরতলায় প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন করা হয়েছে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। রাজ্য সরকার ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এসেছে একুশের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে।