বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেপসাং, গোগরা থেকে চীনা সেনা প্রত্যাহারের দাবি ভারতের

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:২৮

গালওয়ান সংঘর্ষের ৯ মাস পরেও দেপসাং, গোগরা অঞ্চলে এখনও মুখোমুখি অবস্থান করছে ভারত ও চীনের সেনারা। গত জুলাই মাসে এসব এলাকা থেকে সেনা সরানোর কথা বলা হলেও চীনের জন্য তা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির।

সীমান্ত থকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে শনিবার দশম দফার বৈঠক করেছেন ভারত ও চীনের সেনারা। ১৬ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনায় ভারত দাবি করেছে লাদাখ অঞ্চলের দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে চীনা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।

শুক্রবার দুটি দেশই পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের উভয় দিকে সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ করে। শনিবার অন্য বিতর্কিত অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিনিয়র কমান্ডার স্তরের এই আলোচনা হয়েছে চুশুল সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে মলডোতে।এদিনের আলোচনায় ভারতের তরফে নেতৃত্ব দেন লেহ-এর ২৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন। চীনের তরফে ছিলেন দক্ষিণ শিনজিয়াং প্রদেশের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।

প্যাংগং সমঝোতার পর দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা অনেকটাই নিম্নমুখী। যদিও অতীত অভিজ্ঞতার নিরিখে সতর্ক নয়াদিল্লি। কথা ছিল প্যাংগংয়ের পর ভারত-চীন নিয়ন্ত্রণরেখায় বাকি বিতর্কিত অঞ্চলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সে মতোই কথা এগোয়। দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে লাল-ফৌজকে সরানোর দাবি করে ভারত। তবে, আলোচনা হলেও এ সম্পর্কে এখনও দুই দেশ কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি বলে জানা গিয়েছে।

গালওয়ান সংঘর্ষের ৯ মাস পরও দেপসাং, গোগরা অঞ্চলে এখনও মুখোমুখি অবস্থান করছে ভারত ও চীনের সেনারা। গত জুলাই মাসে এসব এলাকা থেকে সেনা সরানোর কথা বলা হলেও চীনের জন্য তা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। দেপসাংয়ের বটল নেকে ভারতীয় বাহিনীকে টহলে বাধা দেয় লাল ফৌজ।

এ ছাড়া পিপি-১০, পিপি-১১, পিপি-১১ এ, পিপি-১২ ও ১৩ তে যেতেও বাধা দেয়া হয়।

গত বছরের এপ্রিলে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করার পর গত ৯ মাস দেশ দুটি বেশ কয়েকবার কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনায় বসেছে। ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চীনের ৫ জন সেনা নিহত হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।

শনিবারের বৈঠক ১১ ফেব্রুয়ারি সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ওই দিন রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরানো নিয়ে চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির দিকে এগোচ্ছে ভারত৷ এই চুক্তির পরেই সুসংবদ্ধ ও স্বীকৃতভাবে ভারত-চীন পরবর্তী সেনা প্রত্যাহারের পথে যাবে৷

এ বিভাগের আরো খবর