অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের টিকাবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। মেলবোর্ন, সিডনি, পার্থ, অ্যাডিলেড ও ব্রিসবেন শহরে রোববার বিক্ষোভে যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ।
নিউজ নাইনের খবরে বলা হয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ান ভার্সেস এজেন্ডা’ নামের একটি সংগঠনের ডাকে টিকাবিরোধী কর্মসূচি পালন হয়।
প্রতিবাদগুলো শান্তিপূর্ণ হলেও মেলবোর্নে পুলিশ বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে আটক করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করতে দেখা গেছে।
মেলবোর্ন পুলিশ বলছে, আটক ১৫ জনের বিরুদ্ধে করোনাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও তথ্য লুকানোর অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
ব্রিসবেনের বোটানিক গার্ডেনে টিকাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় এক হাজারের বেশি মানুষ। তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমার শরীর, আমার পছন্দ’ ‘আমরা ভ্যাকসিন নিতে চাই না।’
অ্যাডিলেডে সমাবেশে করেন কয়েক শ মানুষ। শহরজুড়ে বিক্ষোভের পর সাউথ অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয় প্রতিবাদকারীরা। তাদের স্লোগান ছিল, ‘টিকা নিয়ে জোর করবেন না।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খ্যাতিমান শেফ পিট এভেন্স সিডনির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে বারবার ভুল তথ্য শেয়ারের জন্য তাকে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
সিডনিতে প্রতিবাদকারীদের পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আপনি টিকা চান, টিকা নিন কিন্তু এটি নেয়ার জন্য আমাকে জোর করবেন না।’
সোমবার থেকে ফাইজারের টিকার মাধ্যমে দেশটির জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী মাসে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। অক্টোবরের মধ্যে গোটা অস্ট্রেলিয়ায় ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দেশটির সরকার। এরই মধ্যে টিকা নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
অস্ট্রেলিয়ায় বিনা মূল্যে টিকা দেয়া হবে, তবে এটি নেয়া বাধ্যতামূলক নয়। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই চল্লিশ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে দেশটি।
প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাত, সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী ও কেয়ার হোমগুলোতে ফ্রন্টলাইলে থাকা সাত লাখ কর্মীর সঙ্গে কেয়ার হোমগুলোতে বসবাসকারীদের টিকা দেয়া হবে।
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ২৯ হাজার কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে আর এদের মধ্যে ৯০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।