শুধু ভারতেই করোনাভাইরাসের ৭ হাজার ৫৬৯টি ভিন্ন ধরনের অস্তিত্ব মিলেছে।
হায়াদ্রাবাদভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি (সিসিএমবি) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত বছর চীনের উহানে নোভেল করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এটি বিশ্লেষণ করে এর সাড়ে ৭ হাজারের বেশি বিবর্তিত রূপের সন্ধান পাওয়া গেছে।
যথেষ্ঠ নমুনা বিশ্লেষণের আগেই এমন ফলাফলে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের পাঁচ হাজারের বেশি বিবর্তিত রূপ এবং সেগুলোর বিবর্তন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন সিসিএমবির বিজ্ঞানীরা।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. রাকেশ মিশ্র বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে কোভিড নাইনটিনের চেয়ে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। অথচ ভারতে এখন পর্যন্ত বিবর্তিত ভাইরাসগুলোর প্রাদুর্ভাব তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। এমনকি উচ্চ মাত্রার সংক্রামক ভাইরাসগুলোর সংক্রমণও তেমন লক্ষ্যণীয় নয়। সম্ভবত যথেষ্ট ডিএনএ সিকোয়েন্সিং হয়নি বলেই এমন অবস্থা। কতো ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, তা নিশ্চিত করতে সারা দেশ থেকে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করে আরও বেশি বেশি জিনোম সিকোয়েন্স করা দরকার।’
গবেষণায় দেখা গেছে, সুনির্দিষ্ট কিছু রাজ্যে, বিশেষ করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে কয়েকটি প্রজাতির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি। ছড়ানোর ধরন যথাযথভাবে বোঝার জন্য গভীর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন, বলছেন বিজ্ঞানীরা।
তাদের দাবি, সাম্প্রতিককালে করোনাভাইরাসই সম্ভবত একমাত্র ছোঁয়াচে জীবাণু, যা বিবর্তনের মাধ্যমে অল্প সময়েই হাজারও রূপে ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে।
কোভিড-১৯ এর তুলনায় ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পৃথক দুই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম নিশ্চিত করে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার ওই দুই নির্দিষ্ট বিবর্তিত রূপের সন্ধান মেলে। গবেষকেরা নিশ্চিত করেছেন, কোভিড-১৯ এর চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক নতুন প্রজাতির ভাইরাসগুলো।