শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পূর্বনির্ধারিত ভাষণ বাতিল করা হয়েছে।
দেশটির রাজধানী কলম্বোতে সোমবার দুই দিনের সফরে যাচ্ছেন ইমরান। তবে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে তিনি ভাষণ দিতে পারছেন না বলে বুধবার ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে ও প্রধানমন্ত্রী মহীন্দ্র রাজাপাকশের সঙ্গে ইমরানের বৈঠকের কথা। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টে বুধবার তার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল।
জানা যায়, পাকিস্তান সরকারের অনুরোধে শ্রীলঙ্কায় ইমরানের সফরকালে দেশটির পার্লামেন্টে তার ভাষণ দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রসচিব জয়ানাথ কলোমবাগের বরাতে দেশটির ডেইলি এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় স্পিকার মাহিন্দ ইয়াপা আবেওয়ারদেনা পার্লামেন্টে ইমরান খানের ভাষণ বাতিলের অনুরোধ করেন।
অবশ্য অসমর্থিত সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা চান না, ইমরান তাদের পার্লামেন্টে বক্তব্য দিক। কারণ তাদের শঙ্কা, এতে ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কলম্বো বন্দরে ইস্ট কন্টেনার টার্মিনাল চুক্তি বাতিলকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে আগে থেকেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না শ্রীলঙ্কার।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছিল, পার্লামেন্টে ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা বলতে পারেন ইমরান, যা ভারতকে আহত করতে পারে।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে ইমরানের ভাষণ বাতিলের সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রীলঙ্কায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানরা তাদের অধিকার চর্চা করতে বাধা পাচ্ছে, এ বিষয়টি পার্লামেন্টে তুলতে পারেন ইমরান।
করোনাভাইরাসে মৃত মুসলমানদের কবর দেয়ার বদলে পোড়ানো বাধ্যতামূলক করেছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। পরে চলতি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্তটি বাতিল করতে বাধ্য হয় দেশটির সরকার।