বিজেপি সদরদপ্তরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরসহ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দলীয় সাংসদদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করছেন কৃষক আন্দোলন মোকাবিলার রাস্তা খুঁজতে।
ওই দিন রাত পর্যন্ত কোনো সমাধান না মেলায় বুধবার সকালেও চলেছে বৈঠক। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত দেশবাসীর কাছে পৌঁছানোর আগেই এমন একটি খবর দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ল যাতে চওড়া হয়েছে বিজেপি নেতাদের কপালের ভাঁজ।
পাঞ্জাবের পৌরনির্বাচনে জয়-জয়কার কংগ্রেসের। অন্যদিকে প্রায় ধুয়েমুছে সাফ বিজেপি।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে উত্তর ভারতজুড়ে কৃষক আন্দোলনের অভিঘাতেই গেরুয়া শিবিরের এই বিপর্যয়। হরিয়ানায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই রকম ফলের সম্ভাবনা।
১৪ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে পৌরসভার ভোট হয়। এতে মোট ভোট পড়েছে ৭১.৩৯ শতাংশ। সোমবার কয়েকটি বুথে পুনঃনির্বাচন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বুধবার মোহালি পৌরসভার কয়েকটি বুথে আবার নির্বাচন হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে পাঞ্জাবের আটটি করপোরেশন এবং ১০৯টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল আর নগর পঞ্চায়েতের ভোট গণনা শুরু হয়।
সাতটি করপোরেশন অধিকাংশ পৌরসভাই কংগ্রেস দখল করেছে। একক শক্তিতে এবং নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে পঠানকোট, বাটালা, হোশিয়ারপুর, অবোহর, ভাতিন্ডা, কপূরথলা, মোগা করপোরেশন কংগ্রেসের দখলে। মোহালি করপোরেশনের কিছু ওয়ার্ডে ভোটে অনিয়মের অভিযোগে পুনঃনির্বাচন হচ্ছে বুধবার।
বৃহস্পতিবার ওই করপোরেশনের ফল বের হবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য জয় কংগ্রেস পেল ভাতিণ্ডায়। ৫৩ বছর পর সেখানে মেয়র হবেন কোনো কংগ্রেস প্রার্থী। ভাতিণ্ডার বিধায়ক হলেন কংগ্রেসের মনপ্রীত সিং বাদল। তিনি আবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও একটি পরিচয় রয়েছে মনপ্রীতের। তিনি অকালি দল প্রধান সুখবীর সিং বাদলের তুতো ভাই।
এই নির্বাচনে মোট ৯ হাজার ২২২ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৩২। চলমান কৃষক আন্দোলনের আবহে রাজ্যে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়ে মাত্র ১ হাজার ৩ জন প্রার্থীই দিতে পেরেছে বিজেপি। এদিন সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে জানা গেছে ৮০টি পৌরসভার মধ্যে কংগ্রেস ৬৫টি, শিরোমনি অকালি দল ৫টি এবং নির্দলরা ১০টি দখল করেছে। বাকি ২৯টি পৌরসভাতে অধিকাংশ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি ও আম আদমি পার্টির ঝুলি শূন্য।
যদিও জয় নিয়ে অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, ভোটে কারচুপি হয়েছে।