মিয়ানমারের নির্বাচিত কারাবন্দি নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে আদালতে নতুন একটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে সু চির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোর একটি আদালতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন সু চি। এ সময় তিনি আইনি ব্যবস্থা ও প্রতিনিধিত্ব সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আদালতে সু চির পরবর্তী হাজিরার তারিখ ১ মার্চ।
এদিকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর মঙ্গলবার নেপিদোতে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করে দেশটির সেনাবাহিনী।
সেনা সরকারের মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জো মিন তুন বলেন, সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবে না। নির্বাচনের পরই জয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।
তবে দেশে নির্বাচন কবে হবে, এ বিষয়ে কোনো দিনক্ষণ জানাননি জো মিন তুন।
সংবাদ সম্মেলনে নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ফের তোলেন মিয়ানমারে সামরিক শাসকদের এ মুখপাত্র। তবে অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি তিনি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নভেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হয়।
তবে নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে এনএলডি ওই জয় পায় বলে অভিযোগ দেশটির সামরিক বাহিনীর।
১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চিসহ কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল, তার বৈধতা হিসেবে দেশটির সেনারা বরাবরই নির্বাচনে জালিয়াতির কথাই বলে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জো মিন তুন আরও বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সু চিকে তার বাড়িতেই আটকে রাখা হয়েছে।
বাাড়িতে সু চি ভালো আছেন বলেও জানান জো মিন তুন। তিনি সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সহিংসতা ও ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ তোলেন।
তুন বলেন, বিক্ষোভকারীদের বেআইনি কর্মকাণ্ডের কারণে এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। পরে তার মৃত্যু হয়।