পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই বিধানসভা ভোটে লড়বে বামেরা। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার আসনরফাও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এখনই খোলসা করে আসনরফা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ উভয়পক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। বাম ও কংগ্রেসের জোটও রয়েছে লড়াইয়ের ময়দানে। মঙ্গলবার বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের বৈঠকের পর দাবি করা হয়, ত্রিপক্ষীয় লড়াই হবে।
অর্থাৎ বাম ও কংগ্রেস জুটিও যে লড়াইয়ের ময়দানে পুরোদমে রয়েছে, সেটা বুঝিয়ে দেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
কংগ্রেস ও সিপিএমের দাবি, বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতেই তাদের এই জোট।
সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গে তারা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও এ দিন দাবি করেন দুই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অধীর বলেন, কত আসন ছাড়া হবে- তা এখনই ঘোষণা নয়। তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ সফল। বাংলায় দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে।
বিমান বসু বলেন, বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। ধর্মনিরপেক্ষতায় ছোট দলগুলো ভোটে লড়তে চাইছে। ছোট দলগুলোর জন্য কিছুটা জায়গা ছাড়তে চাইছি।
জোটবদ্ধ হওয়ার পর বাম-কংগ্রেস নিজেদের শক্তি জাহির করতে পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে সমানে-সমানে পাল্লা দিতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জোটের সভা। সেই সভা সফল করতে শুরু হয়েছে দেয়াল লিখন। সঙ্গে চলছে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারাভিযান।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট ঘোষণা না হলেও পুরোদমে চলছে প্রচার। বিজেপির হাতিয়ার পরিবর্তন যাত্রা। আর তৃণমূল করছে সংহতি যাত্রা। এরই মাঝে বাম-কংগ্রেসের স্লোগান ব্রিগেড চলো।