টিকা নিয়ে জাতীয়তাবাদী আচরণ পৃথিবী থেকে করোনাভাইরাস নির্মূল প্রচেষ্টা পিছিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মহামারি দীর্ঘায়িত করবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক নগোজি ওকোঞ্জো-আইউইয়ালা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
নগোজি মনে করেন, টিকা জাতীয়তাবাদ সব দেশের অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নাইজেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সোমবার ডব্লিউটিওর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। যদিও কাজ শুরু করবেন ১ মার্চ থেকে।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তার প্রথম লক্ষ্য। এ জন্য ডব্লিউটিওর যা যা করণীয়, তা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
নগোজি বলেন, ‘সবার আগে ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী রপ্তানি গতিশীল করতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া উচিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর। আর এভাবেই কোভিড-১৯ নির্মূলে বড় অবদান রাখতে পারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা যতক্ষণ পর্যন্ত না নিশ্চিত করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত নন কেউই। কারণ কোভিড-১৯ নির্মূলের আগেই ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নতুন নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামনে আসছে।
‘এ রকম একটি স্পর্শকাতর ও সংকটের সময়ে টিকা নিয়ে জাতীয়তাবাদের অর্থ স্রেফ বোকামি, যার মাশুল গুনতে হবে বিশ্বকে।’
ওকোঞ্জো মনে করেন, সব দেশে পূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা না হলে শতভাগ নাগরিকের জন্য টিকা নিশ্চিত করা দেশগুলোও লাভবান হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে, আর তাও অন্য জায়গায় মানুষ মৃত্যুর অপেক্ষা করছে, এমনটা হতে দেয়া নির্বুদ্ধিতা।’
গবেষণা বলছে, দরিদ্র দেশগুলো দ্রুততম সময়ে শতভাগ নাগরিকের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে না পারলে ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রবৃদ্ধি হারাবে বিশ্ব। আর এই ক্ষতির অর্ধেকটাই বহন করতে হবে উন্নত ও ধনী দেশগুলোকে।