সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির মুখপাত্র ফারহান হক বিষয়টি জানান বলে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোমবার মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সেনাপ্রধান সো উইনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার।
ওই ফোনালাপের বিষয়ে ফারহান হক বলেন, ‘বার্গনার ফোনালাপে সো উইনকে জোর দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা যেন প্রতিহিংসার বলি না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
‘তিনি (বার্গনার) মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে এ বার্তা দেন যে, বিশ্ব খুব কাছ থেকে মিয়ানমারের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর কোনো ধরনের কঠোর দমন-পীড়নের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।’
ফোনালাপ সম্পর্কে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রশাসনের পরিকল্পনা ও দেশটিতে বাস্তবিক অর্থে কী হচ্ছে, সে বিষয়ে বার্গনারকে তথ্য দেন সো উইন।
এদিকে মিয়ানমারে পরপর দুই রাত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার সকালে ফের তা চালু করা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকসের পক্ষ থেকে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়। আট ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ফের সংযোগ দেয় সেনারা।
এদিকে মিয়ানমারের প্রধান শহরগুলোতে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েনের পরও দেশটির জনগণ বিক্ষোভের পথ থেকে সরছে না।
গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ বন্দি সব নেতা-কর্মীকে মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবারও মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের ঐতিহ্যবাহী বিক্ষোভস্থল ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা।