বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখছে মিয়ানমার

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:৩৩

মঙ্গলবার সকালে টুইটবার্তায় নেটব্লকসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোববারের পর স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১টা থেকে মিয়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান আন্দোলন দমাতে রোববারের পর সোমবার রাতেও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করেছে মিয়ানমারের সেনাশাসকরা।

মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকসের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইন্টারনেট সংযোগ নির্ধারিত মাত্রার ১৫ শতাংশে রাতারাতি নেমে আসে।

নেটব্লকসের মঙ্গলবার সকালের টুইটবার্তায় বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১টা থেকে টানা দ্বিতীয়বার ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বন্ধ করা হয় মিয়ানমারে।

মিয়ানমারের জনগণের অসহযোগ আন্দোলন দমাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম আগেই বন্ধ করেছিল জান্তা বাহিনী।

এদিকে মিয়ানমারের রাস্তায় সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে। নামানো হয়েছে ট্যাংক। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের বদলে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।

মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাস এবং সামরিক অভ্যুত্থানের সময় কারাবন্দি নেতা অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদর দপ্তর ঘিরে মূলত আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছেন।

মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থলের মান্দালে সোমবার বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। সে সময় বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা সরে যাওয়ার সময় বন্দুকের গুলির মতো শব্দ শোনা যায়। পরে অনেককে আহত অবস্থায় দেখা যায়।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া মিয়ো কো কো নামের এক ছাত্র বিবিসিকে তিনিসহ অন্যরা কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

মিয়ো বলেন, ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ওপর আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আছে।

‘পুলিশ আমাকে খুঁজছে। গ্রেপ্তার এড়াতে একেক দিন একেক জায়গায় থাকতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে আশা রাখি।’

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ। ছবি: এএফপি

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সু চিসহ গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে মুক্তির দাবিতে রাজধানী নেপিদোতেও সোমবার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, যারা নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেবে, তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া ভীতি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাবরণ করতে হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর