প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বেশ ধারণ করে এক কংগ্রেসকর্মী গরুর গাড়ি চেপে শহরের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করছেন। সামনে যাকেই পাচ্ছেন প্রশ্ন করছেন, 'পেট্রলের দাম কমল?' তাকে পায়ে হেঁটে সঙ্গ দিচ্ছেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।
এভাবেই পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম বাড়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছে কংগ্রেস। সোমবার প্রতিবাদের এই অভিনব কৌশল দেখা গেছে ওড়িশার নবরংপুর জেলার উমরকোট শহরে।
সোমবার থেকে রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ রুপি বেড়েছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আমজনতা। রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
তিনি বলেন, দুজন ব্যক্তির ‘উন্নয়নে’ জোর দিয়ে সাধারণ মানুষকে লুট করছে কেন্দ্র।
গত ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় বেড়েছে দাম। চলতি মাসের শুরুতেই এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৫ রুপি বেড়েছিল। কলকাতায় ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়াল ৭৯৫ দশমিক ৫০ রুপি।
সাধারণত প্রতি মাসের শুরুতে সেই মাসের জন্য এলপিজির দাম নির্ধারণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওপর নির্ভর করে এই দাম ঠিক হয়। করের পার্থক্যের কারণেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় রান্নার গ্যাসের দাম ভিন্ন হয়।
রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। রোববার পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ২৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ৩২ পয়সা। ফলে সোমবার দিল্লিতে পেট্রলের দাম ৮৮ রুপি ৯৯ পয়সা এবং ডিজেলের দাম হয়েছে ৭৯ রুপি ৩৫ পয়সা। কলকাতায় পেট্রলের দাম হয়েছে প্রতি লিটারে ৯০ রুপি ২৫ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটারে ৮২ রুপি ৯৪ পয়সা। এই নিয়ে টানা ছয় দিন দিল্লিসহ মেট্রো শহরগুলিতে জ্বালানির দাম বাড়ল।
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে দেশে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে ১০০ রুপি ছুঁইছুঁই করছে পেট্রলের দাম। সেখানে পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ৯৫ রুপি ৪৬ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮৬ রুপি ৩৪ পয়সা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে মোদি সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, শুধু আম্বানি–আদানিদের মতো বড় করপোরেটদের জন্যই কাজ করে সরকার।