বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাটির নিচে ৫ হাজার বছরের পুরোনো মদের কারখানা!

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৪৯

ধারণা করা হচ্ছে, খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ সালে ফারাও সম্রাট নারমারের আমলে মদ উৎপাদন করা হতো কারখানাটিতে। ধারণা সত্যি হলে, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো মদের কারখানা।

মিসরের দক্ষিণাঞ্চলে মাটি খুঁড়ে ৫ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের পুরোনো একটি মদের কারখানার সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিসরীয় পর্যটন মন্ত্রণালয়।

মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্নতাত্ত্বিকরা যৌথভাবে এই মদের কারখানা আবিষ্কার করেছেন। এর আগে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিকরা কারখানাটির অস্তিত্ব আছে জানতে পারলেও এর সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি।

মিসরের পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নর্থ আবিডোজ শহরের সহাজ এলাকায় মাটির নিচে মেলে বিশালাকৃতির কারখানাটি।

ধারণা করা হচ্ছে, খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ সালে সম্রাট নারমারের আমলে মদ উৎপাদন করা হতো কারখানাটিতে। ধারণা সত্যি হলে, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো মদের কারখানা।

কমপক্ষে আটটি বড় ইউনিটে ভাগ করা কারখানাটির প্রতিটি ইউনিটে পাওয়া গেছে থরে থরে সাজানো প্রায় ৪০টি করে মাটির পাত্র। বলা হচ্ছে, বিয়ার উৎপাদন করা হতো এখানে। এ জন্য শস্য আর পানির একটি মিশ্রণ একধরনের বিশেষ মাটির পাত্রে গরম করা হতো, গাঁজানো হতো এবং সংরক্ষণ করা হতো।

প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক দলের প্রধান, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ম্যাথিউ অ্যাডামস এবং প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ডেবোরাহ ভিসচাক জানান, একসঙ্গে প্রায় ২২ হাজার ৪০০ লিটার বিয়ার উৎপাদন হতো কারখানাটিতে।

ধারণা করা হচ্ছে, মিসরীয় সম্রাটদের রাজকীয় শেষকৃত্যে পানীয়ের জোগান দেয়া হতো এ কারখানা থেকেই।

মিসরে বিয়ার তৈরির প্রমাণ এটিই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের একটি প্রাচীন স্থাপনায়, বিয়ার তৈরিতে মিসরীয়দের ব্যবহৃত ৫ হাজার বছরের পুরোনো মাটির পাত্রের সন্ধান মেলে।

পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সম্প্রতি বেশ কিছু বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করে মিসর।

কিছুদিন আগেই আলেকজান্দ্রিয়ায় ২০০০ বছরের পুরোনো অনেকগুলো মমি আবিষ্কৃত হয়; যেগুলোর বিশেষত্ব হলো, মুখের ভেতরে আটকানো জিহ্বা আকৃতির স্বর্ণের তাবিজ। ধারণা করা হয়, মৃত্যুর পরের জীবনে যেন কথা বলতে পারে মৃত ব্যক্তিরা, সে লক্ষ্যে তাদের মুখে তাবিজগুলো আটকে দেয়া হতো।

২০২০ সালে দেড় কোটি পর্যটক মিসরে ভ্রমণ করবে বলে লক্ষ্যমাত্রা ছিল মিসর সরকারের। তবে করোনা মহামারির কারণে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর