বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারের রাস্তায় সেনা, ইন্টারনেট বন্ধ

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:৩৩

মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রু টুইটারে লিখেছেন, ‘অবস্থাটা এমন যে, মিয়ানমারের জেনারেলরা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। গভীর রাতে অভিযান, ব্যাপক গ্রেপ্তার, আরও অধিকার ছিনিয়ে নেয়া, আবার ইন্টারনেট বন্ধ, কমিউনিটির মাঝে সেনা মোতায়েন-এগুলো কঠোর অবস্থানের লক্ষণ। মনোযোগ দিয়ে শুনুন জেনারেলরা: আপনাদের জবাবহিদির আওতায় আনা হবে।’

মিয়ানমারের বড় বড় শহরগুলোতে সাঁজোয়া যান মোতায়েন করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। জোর ধারণা, সামরিক ক্যুর বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনারা।

স্থানীয় সময় রোববার রাত একটা থেকে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেও একবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেতাদের গ্রেপ্তার করে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক জান্তা। এর বিরুদ্ধে চলছে জোরালো আন্দোলন।

ক্যু বিরোধী বিক্ষোভের নবম দিনে উত্তরাঞ্চল কাচিন রাজ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়েছে। দমন-নিপীড়ন চলছে অন্যান্য অঞ্চলেও।

এসব ধরপাকড়ের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে সেনারা ‘যুদ্ধ ঘোষণা করছে’।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রু টুইটারে লিখেছেন, ‘অবস্থাটা এমন যে, মিয়ানমারের জেনারেলরা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। গভীর রাতে অভিযান, ব্যাপক গ্রেপ্তার, আরও অধিকার ছিনিয়ে নেয়া, আবার ইন্টারনেট বন্ধ, কমিউনিটির মাঝে সেনা মোতায়েন-এগুলো কঠোর অবস্থানের লক্ষণ। মনোযোগ দিয়ে শুনুন জেনারেলরা: আপনাদের জবাবহিদির আওতায় আনা হবে।’

বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংযম দেখাতে সেনাদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমাদেশগুলো।

গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই এনএলডি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। নির্বাচনে এনএলডি সরকার গঠনের মতো আসন পেলেও জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী।

এর জের ধরে ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চিসহ নির্বাচিত অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সামরিক শাসন জারি করা হয় মিয়ানমারে। তা মেনে নিচ্ছে না মিয়ানমারের জনগণ। সেনাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

এ বিভাগের আরো খবর