বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্তদলকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিককার রোগীদের মূল উপাত্ত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন।
দেশটির উহান শহরে মহামারির প্রথম পর্যায়ে শনাক্ত হওয়া ১৭৪ জনের প্রাথমিক উপাত্ত চাওয়া হয়। তবে বেইজিং তা না দিয়ে কেবল সারসংক্ষেপ দিয়েছে। এমনটি জানান তদন্তদলের সদস্য ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডমিনিক ডোয়ের।
ডোয়েরের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক উপাত্তে রোগীর নাম উল্লেখ করা না থাকলেও তাদের প্রত্যেকের দেয়া উত্তরের বিস্তারিত থাকে। পাশাপাশি, রোগের উপসর্গসহ তাদের প্রতিক্রিয়ার উল্লেখ করা থাকে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ডোয়ের আরও জানান, যেকোনো মহামারির সূচনাপর্বের অনুসন্ধানে এ ধরনের প্রাথমিক উপাত্ত সরবরাহ করা উৎস দেশের দায়িত্ব।
সিডনি থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় ডোয়ের আরও জানান, এমন উপাত্ত সরবরাহ করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।
গেল এক মাস চীনে তদন্তদলের সঙ্গে অবস্থানের পর চলতি সপ্তায় দেশে ফিরে সিডনিতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ।
গেল জানুয়ারিতে চীনে অবস্থানের সময় তদন্তদলের সদস্যদের চলাচল সীমিত রাখা হয় এবং প্রথম দফার আক্রান্ত হয়েছে এমন কারও সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের নীতিমালার অজুহাতে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি।
চীনের প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটির নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।
মহামারির প্রাথমিক উপাত্ত দিতে চীনের অস্বীকৃতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
তবে এ বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট জাবাব পাওয়া যায়নি। এর আগে বেইজিং জানিয়েছিল, মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরিতে তারা স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে।