কোভিড ১৯-এর জন্য দায়ী ভাইরাসকে নির্মূল করা এখনই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তবে তার আশা, টিকা ও চিকিৎসার মাধ্যমে চলতি বছরের শেষে কোভিড সাধারণ জ্বরের মতোই একটি রোগে পরিণত হবে। নিরাময়যোগ্য এই রোগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরবে মানুষ।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে শুক্রবার দেয়া সাক্ষাত্কারে ম্যাট হ্যানকক বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে সক্ষম নতুন ওষুধগুলো ২০২১ সালের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে। ফলে কোভিড একটি ‘নিরাময়যোগ্য রোগ’-এ পরিণত হবে।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার কোভিড ১৯ নির্মূলে বিভিন্ন কৌশল নিলেও হ্যানকক ইঙ্গিত দিচ্ছেন দেশবাসীকে এই রোগের সঙ্গে দীর্ঘদিন খাপ খাইয়ে চলতে হবে।
টিকার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য এখন কোভিড ১৯-এর সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় শিগগিরই এসব পদ্ধতি যুক্ত হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে ডেক্সামেথেসোন এবং টসিলিজুমাব নামের দুটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই দুটি ওষুধ একসঙ্গে প্রয়োগ করে মারাত্মক অসুস্থ কোভিড রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কমার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘আমি আশা করছি বছরের শেষ নাগাদ কোভিড ১৯ একটি নিরাময়যোগ্য রোগে পরিণত হবে। নতুন ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে কোভিড ১৯ মহামারির চরিত্র হারিয়ে ফেলবে। এটি তখন সাধারণ জ্বরের মতোই আমাদের জীবনে থাকবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এমন অবস্থা তৈরি হবে।’
টিকাদান যে গতিতে চলছে, তাতে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক টিকা পাবে বলে আশা করেন হ্যানকক। তিনি বলেন, ‘টিকা এবং রোগের চিকিৎসা- দুটি বিষয়ের সমন্বিত লক্ষ্যই হলো আমাদের মুক্ত ও স্বাভাবিক জীবনের পথ তৈরি।
‘কোভিড ১৯ ফ্লুর মতো রোগে পরিণত হলে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাব এবং টিকা ও চিকিত্সার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’