যুক্তরাজ্যের কেন্টে পাওয়া করোনার নতুন ধরনটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন দেশটির জেনেটিক সারভেইলেন্স প্রোগ্রামের প্রধান শ্যারন পিকক। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, নতুন ধরনটির ক্ষেত্রে করোনার টিকা নাও কাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পিকক বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো, অন্য ধরনের চেয়ে বি.১.১.৭ নামের নতুন ধরনটি বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। এতে আবারও মিউটেশন ঘটছে। এর ফলে আরও পরিবর্তিত ধরন আসতে পারে, যা টিকার কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, এটি খুবই সম্ভব যে, ধরনটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
১.১.৭ নামে ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল দক্ষিণপূর্ব ইল্যান্ডের ব্রিস্টলে। এর আগে একে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে অভিহিত করেছিল ভাইরাস নিয়ে কাজ করা ইমারজিং রেসপাইরেটরি ভাইরাস থ্রেট অ্যাডভাইজরি গ্রুপ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধরনটিতে ২১ বার মিউটেশন ঘটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটা একই রকম মিউটেশন দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া ধরন দুটিতেও।
বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার ধরনটির নাম দিয়েছেন বি.১.৩৫১; ব্রাজিলে পাওয়া ধরনটির নাম দিয়েছেন পি.১। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাওয়া ধরনটিই সবচেয়ে বেশি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ইতিমধ্যে ৮০টি দেশে এই ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে ২৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৭০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন করোনা