মিয়ানমারের সামরিক সরকার অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদর দপ্তরে ‘হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে’ বলে জানিয়েছে দলটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার গভীর রাতে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী ওই দপ্তরের প্রবেশদ্বার গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তখন অবশ্য ভবনটিতে দলের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।
এনএলডি নেতৃত্বাধীন সরকারকে সরিয়ে দেশটিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল।
এনএলডি তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘সামরিক স্বৈরশাসক রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনএলডি সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
ওই পোস্টে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
দেশটির এক আইনপ্রণেতার বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের প্রায় ১২ জনের একটি দল এই অভিযান চালায়। রাতের অন্ধকারে তারা জোর করে ভবনটিতে প্রবেশ করে।
দেশটিতে রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ চলার সময় এই অভিযান চালানো হয়।
এদিকে মিয়ানমারের হাজার হাজার মানুষ সু চি ও এনএলডির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো রাজপথে নেমেছেন।
বুধবার ভোরে সরকারি কর্মচারীদের বড় একটি দল রাজধানী নেপিদোতে বিক্ষোভের জন্য জড়ো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
১ ফেব্রুয়ারি সেনা-অভ্যুত্থানের পর থেকেই সু চি ও তার দলের অনেক নেতাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অভ্যুত্থানের ঠিক এক সপ্তাহ পর তাদের মুক্তির দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ।
বিক্ষোভ দমাতে পাঁচ জনের বেশি মানুষের জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ করে সামরিক সরকার। তবে এই নিষেধাজ্ঞা মানছেন না বিক্ষোভকারীরা।
প্রথম দিকের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভও দিন দিন সহিংস হয়ে উঠছে। সেনাবাহিনী বা পুলিশের কোনো বাধাকেই তোয়াক্কা করছেন না আন্দোলনকারীরা।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় নামায় নেপিদোতে মঙ্গলবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর ওপর রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
বিবিসি লিখেছে, এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর।