বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারের বিক্ষোভে এবার ভিক্ষুরা

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:২২

মিছিলে ‘আমাদের নেতাদের মুক্তি দাও, আমাদের ভোটের প্রতি সম্মান জানাও, সামরিক অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করো’ ব্যানারের পাশাপাশি ‘গণতন্ত্র রক্ষা করো’ ও ‘স্বৈরতন্ত্রকে না বলো’ ব্যানারও দেখা যায়।

সেনাশাসনের প্রতিবাদ ও নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারে টানা তৃতীয় দিনের বিক্ষোভে শ্রমিক-ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।

সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী মিছিলে হাজার হাজার মানুষ সোমবার অংশ নেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বাচিত নেতাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের ঠিক এক সপ্তাহ পর দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়।

১ ফেব্রুয়ারির সেনা-অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে অসহযোগ আন্দোলন দিনে দিনে ব্যাপক আকার ধারণ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে রয়টার্স জানায়, মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে শ্রমিক ও ছাত্রদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় ভিক্ষুরা। এ সময় তাদের হাতে বৌদ্ধদের পতাকা দেখা যায়।

সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পতাকার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লাল পতাকা হাতে মিছিল করে অন্য বিক্ষোভকারীরা।

মিছিলে ‘আমাদের নেতাদের মুক্তি দাও, আমাদের ভোটের প্রতি সম্মান জানাও, সামরিক অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করো’ ব্যানারের পাশাপাশি ‘গণতন্ত্র রক্ষা করো’, ‘স্বৈরতন্ত্রকে না বলো’ ব্যানারও দেখা যায়।

২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বাধীন ‘গেরোয়া বিপ্লবের’ পর রোববার মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড়।

গেরোয়া বিপ্লব দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করে।

সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করায় ভিপিএন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ই থিনজার নামের এক কর্মী ফেসবুকে জনগণকে মিছিলে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইয়াঙ্গুনের জনগণ, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নিন।’

মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় শহর দাওয়ে ও উত্তরাঞ্চলীয় কচিন রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কচিনের বিক্ষোভকারীরা পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো পোশাক পরেন।

সোমবারের বিক্ষোভের বিষয়ে সামরিক সরকারের মন্তব্য নিতে ব্যর্থ হয় রয়টার্স। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওই কর্মসূচি সম্প্রচার করেনি।

এ বিভাগের আরো খবর