ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের একটি হিমবাহ ধসে পড়ার পর ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ১৫০ জন।
এই ঘটনায় উত্তরাখণ্ডের গঙ্গা তীরবর্তী চার জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশের রাজ্য উত্তর প্রদেশেও এর জের পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি বলছে, চামোলি জেলার নন্দাদেবী হিমবাহে রোববার সকালে ধসের পর ভেঙে যায় এর পার্শ্ববর্তী বাঁধ। প্লাবিত হয় অলকানন্দ ও ধৌলিগঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকা।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় কাছাকাছি একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন অন্তত ১৬০ জন। ঘটনার পর তাদের বেশির ভাগ নিখোঁজ আছেন। এর মধ্যে নির্মাণাধীন একটি টানেলে আটকা আছেন ১৬ জন।
ঘটনার সময় স্থানীয়দের অনেকে নদীর আশপাশে ভেসে আসা জ্বালানি লাকড়ি কুড়াচ্ছিল। অনেকে চড়াচ্ছিলেন গবাদিপশু।
উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তিনটি হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযানে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ছয়শ সদস্য। চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রস্তত রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যদের।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের চার জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অলকানন্দর নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ‘গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
হিমালয় ঘেঁষা উত্তরাখণ্ড আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসপ্রবণ রাজ্য। এর আগে ২০১৩ সালের জুনে সেখানে মৌসুমী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়।