বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণ

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:৪২

ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার ওই ভাষণ স্মরণে আরও একটি অভিনব মুহূর্ত তৈরি করা হয় শনিবার। 

১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্মরণ করল কলকাতা। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উভয় দেশের বিশিষ্টজনেরা।

ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার ওই ভাষণের স্মরণে আরও একটি অভিনব মুহূর্ত তৈরি করা হলো শনিবার।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকার জন্য যারা মৈত্রী সম্মাননা পেয়েছিলেন, তাদের আবার সম্মান জানানো হলো এ অনুষ্ঠানে।

স্মারক পেলেন জাদুকর পিসি সরকার, সাংবাদিক মানস ঘোষ, সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, পঙ্কজ সাহা, দিলীপ চক্রবর্তী, মানবাধিকারকর্মী উৎপলা মিশ্রা, অধ্যাপক জিষ্ণু দে ও তার স্ত্রী মীরা দে, প্রণবরঞ্জন রায় এবং ভাষাবিদ পবিত্র সরকার।

এ ছাড়াও কালজয়ী কবি গোবিন্দ হালদার, কালজয়ী গায়ক মান্না দে, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়ের মতো মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপকদের সম্মান জানানো হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমার তথ্যমতে সেদিন ব্রিগেডের ঐতিহাসিক জনসমাবেশে ১৫ লাখ মানুষ ছিলেন। আমি মনে করি, সেদিনের ব্রিগেডে মুজিবের সাথে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মিলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের বিজয় উৎসব সম্পন্ন হয়েছিল।’

বঙ্গবন্ধুর কলকাতা ব্রিগেডে ঐতিহাসিক জনসভা স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মামুদ, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জিসহ বিশিষ্টজনেরা।

সুব্রত মুখার্জি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু পশ্চিমবঙ্গের কাছের মানুষ ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কলকাতার ছাত্রাবস্থা থেকে বর্ণময় জীবনের নানান দিক তুলে ধরেন।

দিনটিকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তিনটের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইন্দিরা গান্ধী এই ব্রিগেডে আসেন। আমি তখন মঞ্চের নিচে ছিলাম। এটা আজ পর্যন্ত আমার দেখা ব্রিগেডে সর্বকালের সেরা জনসমাবেশ।’

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইমুন সারোয়ার কমল।

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, সুভাষ সিংহ রায় এবং দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও স্বপ্না দে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন দুই বাংলার শিল্পীরা।

এ বিভাগের আরো খবর