বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীন কাশ্মীর প্রশ্নে নমনীয় ইমরান

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৩১

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যখন ভবিষ্যতে নিজেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন দয়া করে পাকিস্তানের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি বলছি, পাকিস্তান কাশ্মীরিদের স্বাধীন হওয়া বা পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকার অধিকার দেবে। এটা হবে আপনার অধিকার।’

কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা দেয়ার প্রশ্নেও সমর্থনের সুর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। জানালেন, জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী গণভোটে কাশ্মীরের জনগণের সমর্থন পেলে তাদের পাকিস্তানের অংশ হয়ে থাকা বা স্বাধীন হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এর মধ্যে দুবারই যুদ্ধ হয়েছে কাশ্মীরের দখল নিয়ে।

শুরু থেকেই হিমালয়-ঘেঁষা সৌন্দর্যের লীলাভূমি কাশ্মীরের দখল নিয়ে একক দাবি করে আসছে ভারত-পাকিস্তান। যদিও দেশ দুটি এখন সীমান্তরেখা লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) দিয়ে কাশ্মীর ভাগ করে দখলে রেখেছে।

৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের শহর কোটলিতে এক জনসমাবেশে ইমরান খান জানান, এই অঞ্চলের জনগণের ইচ্ছা পুরোপুরি তাদের হাতে ছেড়ে দিতে চান তারা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যখন ভবিষ্যতে নিজেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন দয়া করে পাকিস্তানের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি বলছি, পাকিস্তান কাশ্মীরিদের স্বাধীন হওয়া বা পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকার অধিকার দেবে। এটা হবে আপনার অধিকার।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৪৮ সালের রেজল্যুশন অনুযায়ী কাশ্মীরে একটি গণভোট আয়োজনের কথা। ওই অঞ্চলের জনগণ ভারতের হয়ে থাকবে, নাকি পাকিস্তানের হয়ে থাকবে, ওই গণভোটের মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও রেজল্যুশনটিতে কাশ্মীরকে স্বাধীনতা দেয়ার কোনো বিধান রাখা হয়নি।

কিন্তু পাকিস্তান-অধ্যুষিত কাশ্মীরসহ পুরো অঞ্চলটি থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার না করা হলে এই গণভোট আয়োজনে যেতে রাজি না ভারত।

নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় বসার পর নিজেদের শাসিত কাশ্মীরে আরও শক্ত অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারভুক্ত করার আইন পাস করেছে ভারতীয় সংসদ।

বিতর্কিত কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। এ ছাড়া, এই সিদ্ধান্তের পর থেকে উত্তাল কাশ্মীরও। মানুষের চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, লম্বা সময় ধরে ছিল কারফিউ। ইন্টারনেট ছিল না অনেক দিন।

মূলত ৯০-এর দশকের পর থেকেই কাশ্মীরিদের ওপর দমন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয় সরকার। নির্বিচারে গুলি, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সাংবাদিকদের ভীতি প্রদর্শন ভারতশাসিত কাশ্মীরের নিত্য ঘটনা।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বসার সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ফিরিয়ে দিলেই কেবল নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর