বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুঁসে উঠছে মিয়ানমার

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:০০

বিক্ষোভ চলছে ইয়াঙ্গুনসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে। এসব শহরের বাসিন্দারা বাড়িতে বসে রাতের অন্ধকারে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। থালা-বাসনের টুংটাং শব্দে বিপ্লবী গান গেয়ে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাচ্ছেন তারা। অনেককে দেখা গেছে দিনের বেলা ফ্ল্যাশ মব করতে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সময়ের সঙ্গে জোরালো হচ্ছে। অভ্যুত্থানের পাঁচ দিনের মাথায় শুক্রবার সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অংশগ্রহণ ছিল স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি কিছু আমলারও।

ইয়াঙ্গুনে ড্যাগন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুপুরে কারাবন্দি অং সান সু চির পক্ষে স্লোগান দেয় কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী। তাদের সবার পরনে ছিল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পরিচয়বাহী লাল ফিতা।

‘লং লিভ মাদার সু’ স্লোগানের পাশাপাশি তিন আঙুলের স্যালুট প্রদর্শন করেন বিক্ষুব্ধরা। ওই অঞ্চলের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ প্রতীক ব্যবহার করে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মিন সিথু এফপিকে বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বৈরশাসকের অধীনে ভুগতে দিতে পারি না।’

বিক্ষোভ চলছে ইয়াঙ্গুনসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে। এসব শহরের বাসিন্দারা বাড়িতে বসে রাতের অন্ধকারে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। থালা-বাসনের টুংটাং শব্দে বিপ্লবী গান গেয়ে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাচ্ছেন তারা। অনেককে দেখা গেছে দিনের বেলা ফ্ল্যাশ মব করতে।

স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের কেউ কেউ সীমিত আকারে বিক্ষোভ করছেন। আবার কেউ করছেন ধর্মঘট।

এর আগে বৃহস্পতিবার মান্দালয় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রেপ্তার নেতাদের এখনই মুক্তি দিতে হবে। এদিন ৪ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা প্রায় ৭০ জন এমপিকে পার্লামেন্টের প্রতীকী অধিবেশন বসাতে এনএলডি থেকে বলা হয়েছে।

এদিকে, সু চির সমর্থকদের ধরপাকড় অব্যাহত আছে। শুক্রবার সকালে ইয়াঙ্গুনে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন এনএলডির শীর্ষ নেতা উইন হতেইনকে। বিবিসিকে গ্রেপ্তার হতেইন জানান, গ্রেপ্তারের পর তাকে রাজধানী নেপিদোতে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও, তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো হয়নি।

৭৯ বছরের এই নেতা সু চির বড় সমর্থক ছিলেন। অভ্যুত্থানের পর একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন।

রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পয়লা ফেব্রুয়ারি এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের অভিযোগ, সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সাম্প্রতিক নির্বাচনে কারচুপি করে জিতেছে। এদিন সু চি ও রাষ্ট্রপতি মিন্ট উইনসহ শতাধিক আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনারা।

সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইন লঙ্ঘনে অভিযোগ এনে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে আছেন প্রেসিডেন্ট মিন্ট উইনও। তার বিরুদ্ধে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর