মিয়ানমারের নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে গ্রেপ্তারের চার দিন পর তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের সঙ্গী উইন টিনকেও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে চলমান সমালোচনার মধ্যেই শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইয়াঙ্গুন থেকে রাজধানী নেপিদোতে এক গাড়িতে করে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে নিয়ে যান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফোনে জানান টিন।
তার বিরুদ্ধে কী মামলা হতে যাচ্ছে, তা বলতে পারেননি ৭৯ বছর বয়সী টিন।
সু চির ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত গণতন্ত্রকামী বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। টিন জানান, পুলিশেরা ভালো, ফোনে কথা বলতে পারছেন তিনি।
চলমান ধরপাকড় নিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কখনো আমি তাদের ভয় পাইনি, কারণ আমার পুরো জীবনে কোনো ভুল করিনি।’
ইয়াঙ্গুনে মেয়ের বাড়ি থেকে টিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) প্রেস কর্মকর্তা কি টো।
সামরিক শাসনের বিরোধিতা করায় সু চির মতো টিনকেও দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়।
টানা তিন রাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারা তাদের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাঁড়ি-পাতিল বাজানোর মধ্য দিয়ে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গাড়িতে হর্নও বাজান অনেকে।
বৃহস্পতিবার এনএলডির প্রায় ৭০ সংসদ সদস্য সেনাশাসনের বিরোধিতা করেন।
গ্রেপ্তারের আগে ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারকে টিন বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। সেনা কর্মকর্তারা দেশকে ভুল পথে চালিত করবে। যে যেভাবে পারে, সবাইকে এর বিরোধিতা করতে হবে।
ইয়াঙ্গুনভিত্তিক সংগঠন ‘অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পালিটিক্যাল প্রিজনার্সের’ তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত ১৩০ রাজনীতিক ও কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।