বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতের রাজধানী দিল্লি সীমান্তে অবস্থানরত আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন আলোচিত জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে টুইটবার্তায় তিনি এই সংহতি জানান বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
থুনবার্গের টুইটটির কয়েক ঘণ্টা আগে বারবাডোজের পপ সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী রিয়ান্না ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সিএনএনের একটি প্রতিবেদন টুইটারে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কথা বলছি না কেন?’
কৃষক আন্দোলন দমাতে দিল্লির সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারত সরকারের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কথা প্রতিবেদনটিতে বলা ছিল।
টুইটটির পর রিয়ান্নার ফলোয়ার-সংখ্যা এক লাখ বেড়ে গেলেও ভারতের অভিনেত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির কট্টর সমর্থক কঙ্গনা রনৌতসহ অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান।
রিয়ান্নার টুইটের জবাবে কঙ্গনা বলেন, ‘কেউ এ নিয়ে কথা বলছে না। কারণ তারা সন্ত্রাসী, কৃষক নয়। তারা ভারতকে ভাগ করতে চাইছে, যাতে চীন আমাদের নাজুক ভঙ্গুর দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারতকে তার কলোনি বানাতে পারে… চুপ থাকো মূর্খ। তোমাদের মতো আমরা আমাদের দেশ বিক্রি করছি না।’
কৃষকদের তিন বিক্ষোভস্থল সিনঘু, গাজীপুর ও টিকরি সীমান্তে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। তাদের বেশির ভাগই এসেছেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য থেকে।
২৬ জানুয়ারি কৃষক আন্দোলন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে সহিংস আকার ধারণ করে। ওই দিন সকালে দিল্লির মুকারবা চক, গাজীপুর, আইটিও, সিমাপুরি, নাঙ্গলই, টিকরি সীমান্ত, লালকেল্লা ও এসব এলাকার আশপাশে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে।
ওই ঘটনার পর দিল্লি সীমান্তের কাছে কয়েকটি অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।