দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা সামরিক বিমানের উপস্থিতি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের শনিবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সামরিক বিমানের উপস্থিতি দেশটির আক্রমণাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। তবে একে হুমকি মনে করে না ওয়াশিংটন।
‘চীনের নৌ ও বিমানবাহিনীর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে এগুলোকে কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের নৌজাহাজ, বিমান কিংবা নাবিকদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়নি।’
এদিকে তাইওয়ানও দাবি করেছে, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে চীনের কয়েকটি সামরিক বিমানের মধ্যে পারমাণবিক বোমাবাহী বিমানও ছিল।
বৃহস্পতিবার চীন সতর্ক করে জানায়, তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রশ্নে প্ররোচনা কিংবা বিদেশি হস্তক্ষেপের ফল হবে যুদ্ধ।
এর আগে নিজেদের দাবি করা সমুদ্রসীমায় প্রয়োজনে কোস্ট গার্ডকে গুলি চালানোর অনুমতি দেয় চীন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঠেকানো নিয়ে ভাবছে না চীন। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তার ঠেকানোই তাদের লক্ষ্য।
খনিজ সম্পদে ভরপুর দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে চীন।