বাইডেন প্রশাসন আগেরগুলোর চেয়ে স্বাধীন মন্তব্য করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অফ স্টাফ মাহমুদ ভেজি বলেছেন, ইসরায়েলের মর্জি মতো চলবে না তারা।
ইরানের বিরুদ্ধে রণকৌশল নতুন করে সাজানো হচ্ছে বলে ইসরায়েল যে ঘোষণা দিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এ মন্তব্য করেন তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের নতুন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে ইরান চিন্তিত নয় বলেও জানান মাহমুদ ভেজি।
ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল আভিভ কোচাভি মঙ্গলবার বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কিছু প্রয়োগিক পরিকল্পনা করেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করেছে।
একে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ হিসেবেও আখ্যা দেন কোচাভি।
কোচাভির এমন মন্তব্য ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে আবার যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মাহমুদ ভেজি ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের’ বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘তাদের (ইসরায়েলের) পরিকল্পনা করা এবং তা কাজে রূপান্তরের কোনো ক্ষমতাই নেই।’
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জায়নবাদী সরকারের কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, তারা যা বলবে ওয়াশিংটন তা মেনে নেবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন স্বাধীন। ঠিক যেমন অন্য দেশগুলোরও স্বাধীন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ইসরায়েলের ইচ্ছাপূরণ এবং ওয়াশিংটনের কাছে তাদের চাহিদা নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন ইরানের এ কর্মকর্তা।
জানুয়ারিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন এবং ড্রোন ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি সামরিক মহড়া করেছে উল্লেখ করে মাহমুদ বলেন, ‘এর অর্থ আমরা যুদ্ধ চাই না; দেশরক্ষাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’