ইরানে হামলার পরিকল্পনা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব কোহাবি। তেল আবিবে ইউনিভার্সিটিস ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজে দেয়া ভাষণে এ হুঁশিয়ারি দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবিব।
তিনি বলেন, ‘ইরান সম্প্রতি পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় শুরুর পর থেকেই তেহরানে হামলার পরিকল্পনা জোরদার করা হয়েছে।
‘প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ইরানে হামলার বিষয়ে পরিকল্পনার পাশাপাশি বাড়তি অনেকগুলো অভিযান নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। এগুলোর বাস্তবায়ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করলেও এসবের জন্য তৈরি থাকা প্রয়োজন।’
ইরানে পরমাণু কর্মসূচি আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে অভিযোগ তোলেন জেনারেল আবিব কোহাবি। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার যদি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাহার করা চুক্তিতে ফেরে তবে তা কৌশলগত মারাত্মক ভুল হবে বলে সতর্ক করেন কোহাবি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
এক সাক্ষাৎকারে জারিফ বলেন, ‘ইসরায়েল ইস্যুতে আমরা ওয়াশিংটনকে কোনো সহযোগিতা করবো না। তবে তেল প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে সমস্যা নেই। উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যুতেও এক হয়ে কাজ করতে আগ্রহী আমরা।’
২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সরে গেলে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। চুক্তি থেকে সরেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় চরম ক্ষতির মুখে পরে ইরানের অর্থনীতি।
এদিকে, ক্ষমতা গ্রহণের পরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইরান যদি পরমাণু চুক্তির শর্তগুলো কঠোরভাবে মেনে চলে তবে চুক্তিতে ফিরবে ওয়াশিংটন।