বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হলেও সংক্রমণের তীব্রতা কমার লক্ষণ নেই। বেড়েই চলছে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
চীনের উহান থেকে করোনা ছড়ানোর এক বছর পূর্ণ হতেই শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে খবর দিল জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১২ মাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন, কারফিউ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ দিয়েও তেমন কোনো ফল পায়নি। বরং বেশির ভাগ দেশেই দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক দুর্দশায়।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যে বলা হয়েছে, শনাক্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ লাখ। আর করোনামুক্ত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ কোটি।
শনাক্ত ও মৃত্যু উভয় তালিকাতেই শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে শনাক্ত সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই কোটি ৫৪ লাখ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার।
এক কোটি ছয় লাখ ছাড়ানো শনাক্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। তৃতীয় ব্রাজিল, ৯০ লাখ ছুঁইছুঁই। মৃত্যুতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি দ্বিতীয়স্থানে, দুই লাখ ১৮ হাজার। তৃতীয়স্থানে ভারত, এক লাখ ৫৩ হাজার।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ জন্য দেশজুড়ে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রশাসন।
গণহারে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো ও ভারতেও। কিন্তু টিকা কার্যক্রম শুরুর পর করোনার সংক্রমণ কমেছে এখন পর্যন্ত এমন কোনো জোরালো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ। পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক চাপে আছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেন, ‘এতগুলো প্রাণ নিভে যাওয়ায় আমি খুবই মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সরকার যা করেছে এর দায় পুরো দায়ভার আমি নিচ্ছি।’
একে তো পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, তার ওপর নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইরাসটির নতুন একাধিক ধরন।
যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে এরই মধ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে, যা এরই মধ্যে মহামারি ঘটানো ধরন থেকে অনেক বেশি সংক্রামক বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
নতুন ধরন নিয়ন্ত্রণে উদ্ভাবিত টিকাগুলো কাজে দেবে কি না তাও বলা যাচ্ছে না।