বৈশ্বিক নেতাদের ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধের’ বিষয়ে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একযোগে সবাইকে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব বার্তা দেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার বিস্তার রোধে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীন ভাইরাসটির সংক্রমণ ব্যাপকভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে। এ সুযোগে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে চাইছেন শি।
বক্তব্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব কমাতে মিত্র দেশগুলোকে একত্রিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে পরিকল্পনা করেছেন, তার সমালোচনা করেন শি।
তিনি বলেন, ‘অন্যদের প্রত্যাখ্যান, হুমকি বা ভয় দেখাতে ছোট গোষ্ঠী সৃষ্টি বা নতুন একটি স্নায়ুযুদ্ধ বিশ্বকে শুধু বিভক্তির দিকেই ঠেলে দেবে।’
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে শি বলেন, ‘সংঘাতের পরিণতি হলো প্রতিটি দেশের স্বার্থ ও জনকল্যাণের ক্ষতিসাধন।’
বৈঠকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৬৫ শতাংশ কমানো এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় আনতে চীনের উচ্চাভিলাষী জলবায়ু অঙ্গীকারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন শি।
জলবায়ু পরিবর্তনে চীনের দুই অঙ্গীকার এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, বিশ্বের গ্রিনহাউজ গ্যাসের এক-চতুর্থাংশ নির্গমন করে দেশটি।
শি বলেন, ‘জলবায়ুসংক্রান্ত এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক কাজ করতে হবে চীনকে। কিন্তু পুরো মানবতা যখন বিপন্নের পথে, চীন অবশ্যই এগিয়ে এসে এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।’
এ ছাড়া বহুপক্ষীয় সংস্থার মধ্য দিয়ে শক্তিশালী বৈশ্বিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিনিময়ে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের আহ্বান জানান চীনের প্রেসিডেন্ট।