বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনআরসি প্রশ্নে বিজেপির নীরবতায় ক্ষুব্ধ বাঙালিরা

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৯

অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির নেতা সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, 'বিজেপি বাঙালি বিরোধী। হিন্দু বা মুসলিম কোনো বিষয় নয়। তাই অসমে এসে অসমের বাঙালিদের নিয়ে কথা বলেননি তারা।'

ভারতের অসম রাজ্যে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বা নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণ (এনআরসি) প্রশ্নে বিজেপির নীরবতায় ক্ষুব্ধ বাঙালিরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি রাজ্যেটিতে সভা করলেও, এনআরসি নিয়ে কথা বলেননি কেউ।

বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ বাঙালিদের বড় একটি অংশ। অসমিয়া আধিপত্যবাদীরাও নাগরিকত্ব সংশোধনী বাতিলের ঘোষণা না আসায় বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল।

মোদি এবং অমিত শাহের অসম সফরের আগে থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বিভিন্ন অসমিয়া সংগঠনকে। তাদের দাবি, বাতিল করতে হবে বিতর্কিত আইন।

এপ্রিল-মে মাসে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু, কেরালা ও পুডুচেরি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে অসমেই ক্ষমতাসীন বিজেপি। আর কংগ্রেস আছে পুডুচেরিতে।

টানা দ্বিতীয়বার অসমে গদি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। শনিবার একদিনের ঝটিকা সফরে এসে রাজ্যের শিবসাগর জেলায় এক লাখেরও বেশি মানুষকে জমির পাট্টা বিলি করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ দেন বিশাল জনসভায়।

পরদিন রোববার রাজ্যে দুটি জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেখানে এনআরসি বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কথা বলেননি তিনি। অথচ হিন্দু বাঙালিরা মোদি বা শাহের মুখ থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে ইতিবাচক ঘোষণার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

অসমে ফের ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিজেপি

অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির নেতা সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, ‘বিজেপি বাঙালি বিরোধী। হিন্দু বা মুসলিম কোনো বিষয় নয়। তাই অসমে এসে অসমের বাঙালিদের নিয়ে কোনও কথাই বলেননি তারা।'

বিজেপি অবশ্য বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগ মানতে নারাজ। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বিজেপির ভোট কূশলী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে ফের এনআরসি করব। নাগরিকত্ব সংশোধনীও কার্যকর হবে।’

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হয়েই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী হয়ে আসা অমুসলিমদের শর্ত সাপেক্ষে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে আইন পাস হলেও তা কার্যকর হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর