চীনের পূর্বাঞ্চলে শানডং প্রদেশের একটি সোনার খনিতে আটকেপড়া ১১ শ্রমিককে দুই সপ্তাহ পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আটকা থাকা আরও ১০ শ্রমিককে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের রোববারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তবে উদ্ধার অভিযানের বিস্তারিত জানা যায়নি।
গত ১০ জানুয়ারি আকস্মিক বিস্ফোরণের পর কুইজিয়া নামের খনির সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এতে খনির ভেতরে দুইটি আলাদা স্থানে ২২ শ্রমিক আটকা পড়েন। পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তারা।
দমকল বাহিনীর সাত দিনের চেষ্টায় ১৭ জানুয়ারি ১২ জনের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় উদ্ধারকর্মীরা। খনির ভেতর ফেলা দড়িতে টান দিয়ে একটি দল নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিলে, প্রায় ২ হাজার ফুট গভীরে থেকে জরুরি খাবার ও ওষুধ পাঠিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার ওই দলের এক জন কোমায় থাকা অবস্থায় মারা যান।
নিখোঁজ আরও ১০ শ্রমিককে খুঁজে জোর অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।
পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় চীনের খনিগুলোতে কাজ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। গত ডিসেম্বরে ছোংছিং শহরের একটি কয়লা খনিতে বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে ২৩ জন মারা যান। সেপ্টেম্বরে এই শহরেই আরেকটি খনিতে বিস্ফোরণে পর সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় ১৬ শ্রমিকের।
এছাড়া ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গুইঝৌ প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়।