নিজেদের দাবি করা সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযান ঢুকলে কোস্টগার্ডকে গুলি চালানোর অনুমতি দিয়েছে চীন। নতুন আইনে বিদেশি নৌযান ঠেকাতে ‘যে কোনো ব্যবস্থা’ নিতে পারবে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী।
শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির শীর্ষ আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে পাস হয়েছে কোস্টগার্ড আইন। আইনের প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও সমুদ্র অধিকার রক্ষায় এই আইন করা হয়েছে।
সমুদ্রসীমা নিয়ে পূর্ব চীন সাগরে জাপানের সঙ্গে ও দক্ষিণ চীন সাগরে আরও ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিরোধ চলছে দেশটির। প্রায়ই বিদেশি নৌযানকে তাড়া করতে নিজেদের বাহিনী পাঠায় চীন। অনেক নৌযান ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
নতুন আইনে কোন কোন ক্ষেত্রে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আওতায় চীনের দাবি করা সীমানায় যে কোনো বিদেশি স্থাপনাও ধ্বংস করতে পারবে কোস্টগার্ড। একই সঙ্গে বিদেশি নৌযানে তল্লাশিও চালাতে পারবে রক্ষীরা।
আইনটি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই এই আইন প্রয়োগ করা হবে।
গত সপ্তাহে বেসামরিক উপকূলকর্মীদের কোস্টগার্ড ব্যুরোর আওতাভুক্ত করেছে চীন। বর্তমানে দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি পূর্নাঙ্গ শাখা হিসেবে কাজ করছে কোস্টগার্ড।