কিংবদন্তী টিভি উপস্থাপক ল্যারি কিং আর নেই। করোনা আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। ল্যারি কিংয়ের ছেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ল্যারির ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলসের সিনাই মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৮৭ বছরের ল্যারি কিংয়ের।
৬৩ বছরের পেশাগত জীবনে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার তিনি নিয়েছিলেন।
ল্যারি কিং দীর্ঘ ২৫ বছর সিএনএনের জনপ্রিয় সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘ল্যারি কিং লাইভ’ উপস্থাপনা করছেন। এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, তারকা, ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের গল্প তুলে এনেছেন কিংবদন্তী এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
সেলেব্রিটিদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে করতে এক সময় নিজেই সেলেব্রিটি হয়ে ওঠেন ল্যারি কিং। ২০১০ সালে অবসরে যাওয়ার আগে ৬ হাজারের বেশি পর্ব ধারণ হয়েছে এই অনুষ্ঠানের।
জানুয়ারিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ল্যারি কিং। ডায়বেটিস ও হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
কয়েক বার হার্ট অ্যাটাক হলে ১৯৮৭ সালে বাইপাস করান ল্যারি। ২০১৭ সালে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়লেও, চিকিৎসায় সেড়ে উঠেন।
ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময়ে রেডিও ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন ল্যারি কিং। সহজ-সাবলীল উপস্থাপনায় দর্শক আকৃষ্ট করার ক্ষমতা ছিলো তার।
প্রায় ছয় দশকের ক্যারিয়ারে ৫০ হাজারের বেশি ইন্টারভিউ নিয়েছেন। ২০ বছর মার্কিন সংবাদপত্রে কলামও লিখেছেন ল্যারি কিং।
টুইটারে ল্যারি কিংয়ের প্রায় ২০ লাখ ফলোয়ার রয়েছে।