বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষি আইন: ১১তম বৈঠকেও কাটল না অচলাবস্থা

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:১২

দিল্লি সীমান্তের বিভিন্ন অংশে কৃষকদের অবস্থানের ৫৯তম দিন শুক্রবার সরকারের সঙ্গে ১১তম বৈঠকেও কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন। তারা চাইছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন। অন্যদিকে, সরকার কৃষি আইন ১২ থেকে ১৮ মাস স্থগিত রাখার কথা বলেই কৃষকদের আন্দোলন তুলে নিতে বলছে।

ভারতের নতুন তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলনরত কৃষক আর কেন্দ্রীয় সরকার- দুই পক্ষই অনড়। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লিতে প্রতিবাদরত কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ১১তম বৈঠকেও মিলল না সমাধান।

শুক্রবার আলোচনার পরে কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারা যায়নি। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর বলেছেন, ‘কেন্দ্র যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই ব্যাপারে আগামীকাল শনিবার কৃষকদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।‘

তবে কৃষকদেরই এক নেতা বলেছেন, ‘কেন্দ্রের তরফে সুর চড়িয়ে বলা হয়েছে, আর তারা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে না। উল্টো দিকে কৃষকরা হুমকি দিয়েছেন, তারা আরও জোরদার আন্দোলন করবেন।’

দিল্লি সীমান্তের বিভিন্ন অংশে কৃষকদের অবস্থানের ৫৯তম দিন শুক্রবার সরকারের সঙ্গে ১১তম বৈঠকেও কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন। তারা চাইছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন।

অন্যদিকে, সরকার কৃষি আইন ১২ থেকে ১৮ মাস স্থগিত রাখার কথা বলেই কৃষকদের আন্দোলন তুলে নিতে বলছে।

কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, ১৮ মাস আইন বলবৎ না করা সরকারের তরফে সেরা সমাধান সূত্র, যার অর্থ, সরকার আর হয়তো আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয়।

দুই পক্ষই নিজের অবস্থান থেকে না সরায় স্বাভাবিকভাবে শুক্রবার আলোচনার কোনো ইতিবাচক ফল হয়নি।

তবে তাৎপর্যপূর্ণ হলো, প্রতিবার যেমন বৈঠক শেষে পরের দিনের বৈঠকের তারিখ ঘোষিত হতো, শুক্রবার তেমনটা হয়নি। অনেকেই মনে করছেন, আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমস্যা সমাধানের সুযোগ ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে।

যদিও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেছেন, কেন্দ্র ফের আলোচনায় বসবে। একই সঙ্গে তার দাবি, ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর র‍্যালি হবে। ট্র্যাক্টর র‍্যালির রুট নিয়ে শুক্রবারেও দিল্লি-হরিয়ানার পুলিশ কর্তারা কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে একটি রুটম্যাপ দেয়া হয় কৃষকদের। সেই রুট সম্পর্কে কৃষকরা শনিবার তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

অন্যদিকে এদিনই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘কৃষি আইন নিয়ে সরকার দেশের কৃষকদের সঙ্গে অসংবেদনশীল ব্যবহার ও ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।

‘আমাদের সাফ দাবি, এই তিনটি আইন বাতিল করতে হবে। কারণ এগুলি দেশের মানুষের খাদ্য সুরক্ষার তিনটি মূল স্তম্ভ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, জনগণের জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং চাহিদা-জোগানের সুরক্ষাকে ব্যাহত করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর