বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসমে হিন্দু বাঙালিরাই বিজেপির ভরসা

  •    
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৩৫

অসমের ভোটে এবারও তুরুপের তাস ‘বাংলাদেশি ইস্যু’। রাজ্যের একাধিক আধিপত্যবাদী সংগঠন বাংলাদেশি নাগরিক অনুপ্রবেশের অভিযোগে সোচ্চার। অন্যেরা আবার ব্যস্ত সেই অভিযোগ খণ্ডনে।

বাংলা নববর্ষের আগেই ভারতের অসম রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সম্ভাবনা প্রবল। বিজেপিশাসিত রাজ্যটিতে ভোটের দামামা পুরোদমে বেজে উঠেছে। বিজেপিকে হারাতে মহাজোটবন্ধন করেছে কংগ্রেস।

অসমের ভোটে এবারও তুরুপের তাস ‘বাংলাদেশি ইস্যু’। রাজ্যের একাধিক আধিপত্যবাদী সংগঠন বাংলাদেশি নাগরিক অনুপ্রবেশের অভিযোগে সোচ্চার। অন্যেরা আবার ব্যস্ত সেই অভিযোগ খণ্ডনে।

রাজ্যের প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তাই মুসলিম তোষণের পাশাপাশি বিরোধিতাও চলছে সমানে। বিজেপি স্বাভাবিক নিয়মেই চাইছে হিন্দু ভোট একত্রিত করতে।

রাজ্যে মুসলিম দল হিসেবে পরিচিত এআইইউডিএফের সঙ্গে জোট করেছে কংগ্রেস। সেই জোটে বামপন্থিরা যোগ দিয়ে নাম হয়েছে মহাজোটবন্ধন।

অন্যদিকে, আঞ্চলিক দল অসম জাতীয় পরিষদ এবং রাইজর দলও জোট করেছে কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারাতে।

২০১৬ সালে অসম গণপরিষদ ও বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। অবসান ঘটে টানা ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনের। বিজেপি ১২৬ আসনের মধ্যে ৬০টি কেন্দ্রে জিতেছিল।

অসমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কমপক্ষে ৬৪ আসন প্রয়োজন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৬০ আসন পেয়েছিল বিজেপি। সরকার গঠনে সেসময় এগিয়ে আসে ১৪ আসন জেতা অসম গণপরিষদ ও ১২ আসনের বিপিএফ।

অন্যদিকে এককভাবে সেসময় কংগ্রেস জেতে ২৬ এবং এআইইউডিএফ ১৩ আসনে। ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেসময় এই দুই দল জোট করলে সরকার গঠন করতে পারতো না বিজেপি।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের রাজ্যে ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি পায় ৯টিতে জয়। কংগ্রেস তিনটি এবং এআইইউডিএফ একটি আসনে জেতে। অপর আসনটি যায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে।

এখানেও কাজ করেছে ভোট কাটাকুটির অঙ্ক। কংগ্রেস ও এআইইউডিএফের মোট প্রাপ্ত ভোট লোকসভাতেও দেখা গিয়েছে বিজেপির থেকে বেশি। আর এর ফায়দা নেয় বিজেপি।

অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরার দাবি,‘মহাজোটবন্ধন এবার সরকার গড়বেই। মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে। আমরা বিজেপিবিরোধী সব দলকেই মহাজোটবন্ধনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।'

এআইইউডিএফের সাধারণ সম্পাদক আমিনূল ইসলাম বলেন,‘বিজেপিকে হারানোই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আমরা যৌথ ইশতেহার নিয়ে ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে হারাতে একজোট হয়েছি।'

বিজেপি অবশ্য এই মহাজোটবন্ধনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলের রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত দাসের দাবি, একশর বেশি আসনে জিতবেন তারা। রাজ্যের মানুষ এই জোটকে প্রত্যাখান করবে।

অন্যদিকে, বিজেপির শরিক বিপিএফ এবার আর তাদের সঙ্গে নেই। আরেক শরিক অগপ বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে দলীয় কোন্দলে ব্যস্ত।

এই অবস্থায় হিন্দু বাঙালিরাই বিজেপিকে উদ্ধার করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

এ বিভাগের আরো খবর