হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে বিদায়ী ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এতে বলেছেন, ‘আমরা যা করতে এসেছিলাম, তাই করেছি এবং অনেক বেশি করেছি।’
গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার জেরে টুইটার, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ট্রাম্পকে। অভিশংসিত হয়েছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও।
কোনো উপায় না পেয়ে ট্রাম্প তার বিদায়ী ভাষণ ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন। বলেন, ‘এগুলো ছিল কঠিন যুদ্ধ, সবচেয়ে কঠিন লড়াই…কারণ কাজগুলো করার জন্যই আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন।’
গত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে গো হারা হারেন ট্রাম্প।
নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া শেষে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের দিকে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হবেন বাইডেন।
কিন্তু ভোটের ফল এখনও পুরোপুরি মেনে নেননি ট্রাম্প। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার অভিযোগ, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে; হারানো হয়েছে তাকে।
নিজের উত্তরসূরির কথা উল্লেখ না করে ভিডিওতে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকান হিসেবে আমরা যা লালন করি, সেসবে রাজনৈতিক সহিংসতা এক ধরনের আক্রমণ। এটা কখনও সহ্য করা হবে না।’
নিজের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রভাব বেড়েছে দাবি করে ট্রাম্প বলেন, ‘নিজ দেশে আমেরিকানরা ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে এবং বিদেশেও শক্তি বেড়েছে। বিশ্ব আমাদেরকে আবারও সম্মান দেখাচ্ছে- দয়া করে, এই সম্মান হারাবেন না।’
এ সময় চীনের সঙ্গে বৈরি অবস্থান এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির বিষয়গুলোও উঠে আসে তার ভাষণে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে, কয়েক দশকের মধ্যে আমিই প্রথম গর্বিত প্রেসিডেন্ট, যিনি নতুন কোনো যুদ্ধ চাননি।’
বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে নতুন প্রশাসনের প্রতি ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকাকে নিরাপদ ও সমৃদ্ধ রাখবে বলে তাদের প্রতি আমাদের আশীর্বাদ।’