টানটান উত্তেজনা এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজনীতিতে। দল বদলের ইঙ্গিত দিয়ে সেই উত্তেজনা আরও উসকে দিচ্ছেন নেতারাই। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দলবদলের ঘোষণা আসছে।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক সময়ের দাপুটে নায়িকা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শতাব্দী রায় বৃহস্পতিবার জানান, শনিবার বেলা দুটোয় তিনি নিজেই তার ভবিষ্যত কর্মসূচি জানাবেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
শুরু হয় জল্পনা। রটে যায়, শতাব্দী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। শতাব্দী নিজে অবশ্য সেই জল্পনা উড়িয়ে দেননি। বীরভূম থেকে নির্বাচিত সাংসদ তিনি। সেই বীরভূম জেলার দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গেই তার বিরোধ।
অনুব্রত অবশ্য জানিয়েছেন, তার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। শতাব্দীর অভিযোগ, তাকে মানুষের জন্য কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই অভিযোগও উড়িয়ে দেন অনুব্রত। দাবি করেন, দলই শতাব্দীকে সংসদে পাঠিয়েছে।
শতাব্দীর মান ভাঙাতে শুরু হয় তৎপরতা। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ তাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাইপো, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির দপ্তরে যান। সেখানেই কথা হয়।
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল, দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন শতাব্দী। এখন অবশ্য তা নিয়ে নিজেই আর কিছু বলছেন না। তবে বিজেপি নেতারা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নজর শনিবারের দিকে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানাতে পারেন আরেক তৃণমূল নেতা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি। তিনিও বিক্ষুব্ধ বহুদিন ধরে। তার দল বদল নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। তাই শনিবার তাকে নিয়েও আগ্রহ রয়েছে অনেকের।
সাবেক সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল এখন তৃণমূলের বিধায়ক। ইদানিং তিনিও দলবিরোধী কথা বলতে শুরু করেছেন। তাকে নিয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিকে, দিল্লিতে দলের রাজ্য নেতাদের উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। আসন্ন ভোট নিয়ে সেখানে আলোচনা রয়েছে। দল ভাঙানোর বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
দল বদলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ভোটের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ভোটার তালিকা।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮০। গতবারের তুলনায় এবার ভোটারের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৩টি বেশি।