ভারতের নতুন তিনটি কৃষি সংস্কার আইন নিয়ে দিল্লিতে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কৃষকরা আন্দোলনে থাকলেও আইনের পক্ষে সাফাই গাইলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
তারা বলছে, নতুন কৃষি আইন দেশটির কৃষিখাত সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আইএমএফের কমিউনিকেশন্সবিষয়ক পরিচালক গেরি রাইস যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।
নতুন আইনের ফলে ভারতের কৃষি ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। নতুন এ ব্যবস্থায় রূপান্তরের সময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়া উচিত বলে মনে করে আইএমএফ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মাসখানেক ধরে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে শুক্রবার দুপুরে নবম বারের মতো ভারতের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নতুন তিন আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকরা। এর আগের দিন আন্তর্জাতিক সংস্থাটি নতুন কৃষি আইনের পক্ষে মত জানাল।
রাইস বলেন, ‘আমরা মনে করি, নতুন কৃষি আইন ভারতের কৃষি সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ রাখতে সম্ভাব্য ভূমিকা রাখবে। এ আইনের মাধ্যমে বিক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন কৃষকরা। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে উদ্বৃত্তের একটা বড় অংশ তারা পাবেন। পাশাপাশি এটি কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও গ্রামীণ উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী যেন রূপান্তরকালে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষা করে সে কথাও জানান সংস্থাটির ওই মুখপাত্র।
তিনটি কৃষি আইন বাতিল ও উৎপাদিত শস্যের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণের দাবিতে গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন হাজার হাজার কৃষক। আন্দোলনরত কৃষকদের একটি বড় অংশ পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের।
নতুন আইনের ফলে কৃষকদের শঙ্কা তাদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ফসল কিনতে সরকার যেমন বাধ্য থাকবে না, তেমনি বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণও থাকবে না।
দাম-দর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চলে যাবে কোম্পানিগুলোর হাতে। এতে কোম্পানিগুলোর দয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যেতে পারে তাদের জীবন।