বহুবিবাহ বন্ধে নেতাদের উদ্দেশে নির্দেশনা জারি করেছে আফগানিস্তানের ধর্মভিত্তিক ও সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন তালেবান।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইসলাম ধর্মে একজন পুরুষ একই সঙ্গে সর্বোচ্চ চার স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে পারেন। পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে বহুবিবাহ আইনত বৈধ।
তালেবানের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, বিয়ে করতে গেলে কন্যাপক্ষকে যে দেনমোহর দিতে হয় তা জোগাড় করতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন অনেক নেতা।
এ কারণে বহুবিবাহকে নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
তালেবান নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার নির্দেশনায় বহুবিবাহকে নিষিদ্ধ না করা হলেও বিয়েতে বিপুল অর্থ খরচ নিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বহুবিবাহ করলে তালেবান বিরোধীরা সমালোচনার সুযোগ পায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘যদি সব নেতা ও কমান্ডাররা বহুবিবাহ এড়িয়ে চলেন, তাহলে তাদের দুর্নীতি ও অবৈধ কাজে জড়িত হওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’
নিঃসন্তান, ছেলে সন্তান নেই, বিধবা বিবাহ ও ভরণপোষণের পর্যাপ্ত সম্পদ আছে এমন পরিস্থিতিকে ডিক্রির বাইরে রাখা হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রেও বহুবিবাহ করতে চাইলে সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন নেতার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
তালেবানের বেশিরভাগ জ্যৈষ্ঠ নেতাই বহুবিবাহ করেছেন। তবে ডিক্রির আগে যারা বহুবিবাহ করেছেন তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি সংগঠনটি।
কিছু দিন থেকে আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসছে তালেবান। এরই মধ্যে এই ঘোষণা এলো। তালেবান নেতাদের বহুবিবাহ ও বিলাসী জীবন নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।